জবাবঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
( لَا تُصَاحِبْ إِلَّا مُؤْمِنًا وَلَا يَأْكُلْ طَعَامَكَ إِلَّا تَقِيٌّ )
তুমি মু'মিন ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু বানাবে না। এবং তোমার খাদ্য মুত্তাকি ছাড়া অন্য কেউ গ্রহণ করবে না।(তিরমিযি-২৩৯৫)
বৈধ উদ্দেশ্যে বিশেষ করে হেদায়তের উদ্দেশ্যে কাফিরকে জমজমের পানি পান করানো বা হাদিয়া দেয়া জায়েয।
সহীহ বুখারী ২২৭৬ ও সহীহ মুসলিম-২২০১
এ আবু সাঈদ খুদরী রাযি থেকে যে রুকঈয়ার কথা বর্ণিত রয়েছে সেটা ছিলো একজন কাফির ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে।
" لا خِلافَ بَيْنَ الْفُقَهَاءِ فِي جَوَازِ رُقْيَةِ الْمُسْلِمِ لِلْكَافِرِ . وَاسْتَدَلُّوا بِحَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رضي الله تعالى عنه الخ
কাফিরকে রুকঈয়া করা মুসলমানের জন্য জায়েয।কেননা আবু সাঈদ খুদরী রাযি এর বর্ণনায় যে ঘটনা বর্ণিত রয়েছে,সেখানে সাপ বা বিচ্ছু কর্তৃক দংশিত একজন মুশরিকের রুকইয়ার কথা পাওয়া যায়।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৪/১৩)
সুতরাং যেখানে কুরআন দ্বারা একজন মুশরিককে চিকিৎসা করার অনুমোদন রয়েছে,সেখানে একজন মুশরিককে জমজমের পানি হাদিয়ে দেয়া সাধারণ বিষয় মাত্র।তথা জায়েয হবে।
জমজমের পানির ফযিলতঃ
হজরত আবু জর (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য।’ (সহিহ মুসলিম-২৪৭৩)
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজের সঙ্গে পাত্রে ও মশকে করে জমজমের পানি বহন করতেন। তা অসুস্থদের ওপর ছিটিয়ে দিতেন এবং তাদের পান করাতেন। (সুনানে তিরমিজি)
জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে।’ (সুনানু ইবনে মাজাহ-৩০৬২)
ফকিহগণ জমজমের পানি পানের কিছু আদব উল্লেখ করেছেন, যেমন—কিবলামুখী হওয়া, বিসমিল্লাহ বলা, তিন শ্বাসে পান করা, পরিতৃপ্ত হওয়া, শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা ইত্যাদি। জমজমের পানি ইবাদত মনে করে পান করা উচিত। জমজমের পানি পান করার সময় একটি বড় কাজ হলো দোয়া করা।