আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
271 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
এরকম অনেক প্রশ্নই  আছে ইন্টারনেট এ, কিন্তু আমার প্রশ্নটা একটু ভিন্ন।

আমি একটি কোম্পানির জন্য সার্ভে সফটওয়্যার ( এর মাধ্যমে কাস্টমারের মতামত বা রেটিং নেয়)  বানিয়ে দিচ্ছি ।
এই কোম্পানির অনেক গুলো ক্লায়েন্ট আছে। তাদের মধ্যে একটি  ব্যাঙ্ক  আছে।

এই ব্যাংক এর কাছে তারা আগে (আমি কাজ করার আগে)  সার্ভিস দিয়েছে । তো ,যেহেতু তারা ব্যাংক কে সার্ভিস দিতে পারে , আমার বানানো সার্ভে সফটওয়্যার টাও , পরে এমন কোন ক্লায়েন্ট এর  কাছে বিক্রি করতে পারে যাদের কাজ হালাল না ।

এখন কথা হচ্ছে , আমার বানানো সার্ভে টা generic, অর্থ্যাত সর্ব জনীন , এখন এই সার্ভে টা  কোম্পানি যে কোন ক্লায়েন্ট এর কাছেই বেচতে পারে।

ঘটনা টা এমন যে , ধরেন আমি কামার, দা-কুড়াল বানাই , এটা ভাল/খারাপ কাজে লাগানো যায়। এখন এক দোকানি আমার কাছ থেকে দা বানিয়ে নিয়ে দোকানে বেচে । আগে সে অন্য কামার এর কাছ থেকে বানিয়ে নিয়ে , একজন খারাপ লোকের কাছে বেচেছিল।  এখন সে ভাল লোকের কাছে বেচবে নাকি খারাপ লোকের কাছে বেচবে, সেটা কি আমার এখতিয়ার এ রাখতে হবে?
আমার ইনকাম কি হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/242 নং ফাতাওয়ায় একটা মূলনীতি বলেছিলাম যে,
নারীজাতীয় কাপড় সমূহ যা দোকানে বিক্রি হয়,তা তিন অবস্থা থেকে খালি নয়ঃ-

প্রথম অবস্থাঃ-
বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হালাল ত্বরিকায়-ই ব্যবহৃত হবে,হারাম ত্বরিকায় কখনো ব্যবহৃত হবে না।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা জায়েয।এতে কোনো অসুবিধা নেই।

দ্বিতীয় অবস্থা
বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হারাম ত্বরিকায় ব্যবহৃত হবে।তথা মহিলা এগুলো পড়ে পরপুরুষের সামনে সুন্দর্য্য প্রদর্শন করবে।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে।একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, হারাম।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,তোমরা গোনাহ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যকে সাহায্য করো না।সূরা মায়েদা-০২
অপরদিকে একদল উলামায়ে কেরাম বলেন,জায়েয।গোনাহ তারই হবে যে কাপড় পড়বে।বিক্রেতার এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ রেশম কাপড় বিক্রির অনুমতি হযরত উমর রাযি কে দিয়েছিলেন।(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
উপরের মূলনীতির আলোকে আমরা বলব যে, যেহেতু আপনার এ সফটওয়্যার উন্মোক্ত,  generic, অর্থ্যাৎ সার্বজনীন। তাই আপনি এভাবে সফটওয়্যার বানাতে পারবেন এবং বিক্রিও করতে পারবেন। যারা হারাম কাজে ব্যবহার করবে,গোনাহ তাদেরই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
ধন্যবাদ, পরে যেন এই প্রশ্ন অন্যদের কাজে লাগে, তাই বলছি, এটি কিন্তু সবার জন্য উন্মোক্ত সফটওয়্যার নয়,এটি সব ইন্ড্রাস্ট্রি তে ব্যবহার যোগ্য ,হয়ত মুফতি সার্বজনীন  বোঝাতে চেয়েছেন,কিন্তু software এর জন্য "উন্মুক্ত সফটওয়্যার" কথাটি অন্য আরেক অর্থএও ব্যবহার হয়, যথা open source software, সবার জন্য উন্মুক্ত

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...