উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো আমাদের ধর্মীয় উৎসব গুলোতে বিধর্মীদেরকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন, মোবারকবাদ জানানোর ক্ষেত্রে যদি কুফর/ শিরক জাতীয় শব্দ ব্যবহার না করতে হয়,তাহলে এটা জায়েজ আছে।
নিজামুল ফাতওয়া ১/৩৭
সুতরাং বিধর্মী আত্মীয়দের ঈদের দিন ফোন করে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ আছে।
তবে যদিও ঈদের কারনে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ , তারপরেও আমাদের জন্য কাফেরদের শুভেচ্ছা না জানানোই উত্তম।
উল্লেখ্য যে তাদের কোনো ধর্মীয় উৎসবে মুসলমানদের জন্য শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ নেই।
,
দারুল উলুম দেওবন্দ এর ওয়েবসাইটের ৪৩৫৪৪ নং ফতোয়াতে বলা হয়েছে যে অমুসলিমদেরকে ক্রিসমাস ডে এর শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ নেই,বরং তা হারাম।
বিধর্মীদের উৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো হারাম হওয়ার কারণ হলো- এ শুভেচ্ছা জানানোর মধ্যে কুফরী আচারানুষ্ঠানের প্রতি স্বীকৃতি ও অন্য ব্যক্তির পালনকৃত কুফরীর প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ পায়। যদিও ব্যক্তি নিজে এ কুফরী করতে রাজী না হয়। কিন্তু, কোন মুসলিমের জন্য কুফরী আচারানুষ্ঠানের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা কিংবা এ উপলক্ষে অন্যকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হারাম। কেননা আল্লাহ তাআলা কুফরীর প্রতি সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন: “যদি তোমরা কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ্ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। আর তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না। এবং যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও; তবে (জেনে রাখ) তিনি তোমাদের জন্য সেটাই পছন্দ করেন।”[সূরা যুমার, আয়াত: ৭]
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন: “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৩]
অতএব, কুফরী উৎসব উপলক্ষে বিধর্মীদেরকে শুভেচ্ছা জানানো হারাম; তারা সহকর্মী হোক কিংবা অন্য কিছু হোক।
আর বিধর্মীরা যদি আমাদেরকে তাদের উৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানায় আমরা এর উত্তর দিব না।
কারণ সেটা আমাদের ঈদ-উৎসব নয়। আর যেহেতু এসব উৎসবের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট নন। আর যেহেতু আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সমস্ত মানবজাতির কাছে ইসলাম ধর্ম দিয়ে পাঠিয়েছেন, যে ধর্মের মাধ্যমে পূর্বের সকল ধর্মকে রহিত করে দেয়া হয়েছে; হোক এসব উৎসব সংশ্লিষ্ট ধর্মে অনুমোদনহীন নব-সংযোজন কিংবা অনুমোদিত (সবই রহিত)।
আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।”[সূরা আলে-ইমরান, আয়াত: ৮৫]
কোন মুসলমানের এমন উৎসবের দাওয়াত কবুল করা হারাম।