আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in সাওম (Fasting) by (53 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাজ।
আমার কাছে একজন বোন জানতে চেয়েছে যে,
বিসিএস চাকুরী/ পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশন এ চান্স পাওয়ার জন্য নফল রোজা রাখা কি জায়েজ হবে, যেখানে ফরজ রোজারই  অনেক কাযা জমা আছে??

জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (59,730 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

 

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

 

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৭)

 

রাসূল সাঃ নিজে বৃহস্পতি ও সোমবার রোজা রাখতেন। তাই এদিন রোজা রাখা রাসূল সাঃ এর সুন্নত।

 হাদীসে এসেছে-

 

عن أبى قتادة الأنصارى رضى الله عنه أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- سئل عن صوم الاثنين فقال « فيه ولدت وفيه أنزل على

 

হযরত আবু কাতাদা আনসারী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কে সোমবার দিনে রোযা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ এ দিন আমি জন্ম নিয়েছি, আর এদিনই আমার উপর [কুরআন] নাজিল হয়েছে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৮০৭, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-২১১৭, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-২৯২৬, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২৫৫০, সুনানে আবী দাউদ, হাদীস নং-২৪২৮}

 

عن ربيعة بن الغاز أنه سأل عائشة عن صيام رسول الله صلى الله عليه و سلم فقالت كان يتحرى صيام الاثنين والخميس

 

হযরত রাবীয়া বিন গাজ রহঃ হযরত আয়শা রাঃ এর কাছে রাসূল সাঃ এর রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি জবাবে বলেনঃ রাসূল সাঃ সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোযা রাখার ব্যাপারে খুবই মনোযোগী ছিলেন। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৭৩৯, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৬৪৩, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-২৪৯৬, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহুয়া, হাদীস নং-১৬৬৫, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-৪৩৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৩১৫৪}

 

عن أبي هريرة : أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال تعرض الأعمال يوم الإثنين والخميس فأحب أن يعرض عملي وأنا صائم

 

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমল উপস্থাপন করা হয় [আল্লাহর কাছে]। আর আমার আমল উপস্থাপন করার সময় রোযারত থাকাকে পছন্দ করছি। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৭৪৭, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-২৬৬৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২১৭৫৩, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৬১৭, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৫৪১, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৪১৯১}

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তার জন্য নফল রোজা রাখা জায়েজ হবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, ফরজ রোজা কাযা থাকা অবস্থায় নফল রোজা রাখা জায়েজ। তবে যদ্দুর খুব দ্রুত সম্ভব ঐ ফরজ রোজারগুলোর কাযা করে নিবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 365 views
...