আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

১.মুখমণ্ডল ১বার , দুই হাত ১ বার করে ধুয়ে,মাথা মাসেহ আর দুই পা ১ বার করে ধোয়া দিয়েই অযু করা হলে এই অযু দিয়ে কি মুসহাফ ধরে পড়া যাবে কি?

২. অন্তরের রোগের শিফার কথা বলা হয়েছে কুরআন এ, এমন কি আমল করা যেতে পারে এর জন্য?  (এখানে অন্তরের রোগ বলতে আরও নানাবিধ সমস্যা বোঝানো হচ্ছে) কোনো নির্দিষ্ট আয়াত পড়া বা মুসহাফ থেকে বেশি পরিমানে তিলাওয়াত করাও কি এর চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত?  নারীদেরকে কোমল কণ্ঠে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে যেন ব্যধিগ্রস্ত পুরুষ আকৃষ্ট না হয়, কিন্তু এটা নারীর হলে সেই অন্তরের করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ۚ

হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর ও মাথা মাসেহ কর এবং পদযুগল গিটসহ। (সূরা মায়িদা, আয়াত ৬)

ওজুর ফরজ চারটি: ১. সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করা। ২. দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ধৌত করা। ৩. মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা। ৪. পদযুগল গিটসহ ধৌত করা।

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَرَّةً مَرَّةً.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক উযূ (ওজু/অজু/অযু)-তে একবার করে ধুয়েছেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ১৫৯)

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَزِيدَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ دَعَا بِإِنَاءٍ، فَأَفْرَغَ عَلَى كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَمِينَهُ فِي الإِنَاءِ فَمَضْمَضَ، وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثَ مِرَارٍ، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ إِلَى الْكَعْبَيْنِ، ثُمَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ".

হুমরান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ‘উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-কে দেখেছেন যে, তিনি পানির পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিনবার ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন। এরপর ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। তারপর তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার ধুয়ে এবং দু’হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। এরপর মাথা মাসেহ করলেন। তারপর উভয় পা গিরা পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমার মত এ রকম উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে, তারপর দু রাক‘আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোন খেয়াল করবে না, তার পেছনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহীহ বুখারী ১৬১)

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

[عن عبدالله بن مسعود:] عليكُم بالشِّفاءِ العَسلُ شفاءٌ مِن كلِّ داءٍ والقرآنُ شفاءٌ لما في الصُّدورِ

ابن عدي (ت ٣٦٥)، الكامل في الضعفاء ٤/٤٨٠  •  في الأصل عن الثوري بهذا الإسناد موقوف  •  أخرجه ابن ماجه (٣٤٥٢)

মর্মার্থ: ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত: তোমরা শিফাকে আঁকড়ে ধরো। মধু হলো সকল রোগের অষুধ। আর কুরআন হলো অন্তরের সকল রোগের অষুধ।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত ওজু নামাজও পড়তে পারবেন। আবার কুরআনুল কারীমও ধরতে পারবেন।

২. অন্তরের শিফার জন্য সমস্ত কুরআনই পড়া যেতে পারে।

৩. আর সেটা নারীর হলে সে আল্লাহকে ভয় করবে এবং তা থেকে বিরত থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...