ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর মৃত্যুর পর উনার স্ত্রীদের বিয়ে করা উম্মতের জন্য হারাম।কেননা নবীপত্নী মুসলমানদের মা। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
النَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ وَأُوْلُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ إِلَّا أَن تَفْعَلُوا إِلَى أَوْلِيَائِكُم مَّعْرُوفًا كَانَ ذَلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا
নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মুমিন ও মুহাজিরগণের মধ্যে যারা আত্নীয়, তারা পরস্পরে অধিক ঘনিষ্ঠ। তবে তোমরা যদি তোমাদের বন্ধুদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য করতে চাও, করতে পার। এটা লওহে-মাহফুযে লিখিত আছে।(সূরা আহযাব-০৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/12633
(২)
https://www.ifatwa.info/11323 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তিনি আরো ইরশাদ করেছেনঃ
« لاَ تَسُبُّوا أَصْحَابِى فَلَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ ».
অর্থাত-“তোমরা আমার সাহাবীদেরকে গালি দিওনা। তোমাদের মধ্যে যদি কেহ উহুদ সমপরিমাণ স্বর্ণও যদি আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে,তবেও তাঁদের এক মুদ্দ বা তার অর্ধেক পরিমাণ(এক মুদ=১ রতল। আল্লামা শামী(রাঃ)বয়ান করেছেন যে, এক মুদ্দ ২৬০ দিরহামের সমপরিমাণ। দ্রষ্টব্যঃ আওযানে শরিয়্যাহ)আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার সমতূল্য হবেনা।(সহি বুখারী-হাদিস নং ৩৭১৭)
তিনি আরো ইরশাদ করেছেন, হযরত ইবনে আব্বাস(রাঃ)হতে বর্ণিতঃ
” من سب اصحابي فعليه لعنة الله والملائكة والناس اجمعين ” .
“যারা আমার সাহাবীদেরকে গালী দেয়, তাদের প্রতি আল্লাহর,ফেরেস্তাদের,এবং জগতবাসীর অভিশাপ বর্ষিত হোক।(তাবরানী) উপরোল্লিখিত হাদিস সমুহ দ্বারা এ কথাই প্রমাণ হয় যে, সাহাবারা সত্যের মাপকাঠি। তাঁদের সর্ম্পকে কোন ধরনের সমালোচনা করা যাবেনা। (মিরকাতুল মাফাতিহ-৬১০১ নং হাদীসের ব্যখ্যায় তাবারানি এর উদৃতিতে বর্ণিত)
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের (রাসুলুল্লাহ সঃ কর্তৃক ঘোষিত নাজাত প্রাপ্ত দল) আক্বিদাও এটাই যেالصحابة كلهم عدول অর্থাৎ -সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত।
স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেছেনঃ
رضى الله عنهم ورضوا عنه
“আল্লাহপাক তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট ও রাজী হয়ে গেছেন এবং তাঁরাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট এবং রাজী হয়ে গেছেন।(সুরা বায়্যিনাহ-পারা-৩০)
সুতরাং সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা কতটুকু? তা উপরোক্ত হাদীস সমূহ দ্বারা প্রতিয়মান হচ্ছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাহাবারা মা'ছুম বা নিষ্পাপ নন,তবে তারা মাগফুর তথা যাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে বা হবে।
আশারায়ে মুবাশশারা ব্যতিত যেহেতু সকল সাহাবী মাগফুর,তথা তাদেরকে ক্ষমা করা হয়েছে,তাই তারা জান্নাতি।