আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
206 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম,
আশাকরি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন।
আমার দু'টো প্রশ্ন ছিল।
১.উম্মাহাতুল মুমিনীনদের সম্পর্কে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদা কি?তারা কি জান্নাতেও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী হিসেবে থাকবেন? রেফারেন্স সহ জানালে খুবই উপকৃত হব।
২.আশারায়ে মুবাশশারা ব্যতিত বাকি সব সাহাবা দের কেও কি নিশ্চিত জান্নাতি হওয়ার ব্যাপারে আকিদা রাখতে পারি? কেননা বর্তমানে কিছু যুবক ভাইয়েরা এই বিষয়টি মানতে অস্বীকার করে।এই বিষয়ে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদা কি? প্রশ্ন দু'টোর উত্তর রেফারেন্স সহ জানালে খুবই উপকৃত হই। জাযাকাল্লাহু খইরন....

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর মৃত্যুর পর উনার স্ত্রীদের বিয়ে করা উম্মতের জন্য হারাম।কেননা নবীপত্নী মুসলমানদের মা। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
النَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ وَأُوْلُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ إِلَّا أَن تَفْعَلُوا إِلَى أَوْلِيَائِكُم مَّعْرُوفًا كَانَ ذَلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا
নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মুমিন ও মুহাজিরগণের মধ্যে যারা আত্নীয়, তারা পরস্পরে অধিক ঘনিষ্ঠ। তবে তোমরা যদি তোমাদের বন্ধুদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য করতে চাও, করতে পার। এটা লওহে-মাহফুযে লিখিত আছে।(সূরা আহযাব-০৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/12633

(২)
https://www.ifatwa.info/11323 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তিনি আরো ইরশাদ করেছেনঃ
« لاَ تَسُبُّوا أَصْحَابِى فَلَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ ».
অর্থাত-“তোমরা আমার সাহাবীদেরকে গালি দিওনা। তোমাদের মধ্যে যদি কেহ উহুদ সমপরিমাণ স্বর্ণও যদি আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে,তবেও তাঁদের এক মুদ্দ বা তার অর্ধেক পরিমাণ(এক মুদ=১ রতল। আল্লামা শামী(রাঃ)বয়ান করেছেন যে, এক মুদ্দ ২৬০ দিরহামের সমপরিমাণ। দ্রষ্টব্যঃ আওযানে শরিয়্যাহ)আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার সমতূল্য হবেনা।(সহি বুখারী-হাদিস নং ৩৭১৭)

তিনি আরো ইরশাদ করেছেন, হযরত ইবনে আব্বাস(রাঃ)হতে বর্ণিতঃ
” من سب اصحابي فعليه لعنة الله والملائكة والناس اجمعين ” .
“যারা আমার সাহাবীদেরকে গালী দেয়, তাদের প্রতি আল্লাহর,ফেরেস্তাদের,এবং জগতবাসীর অভিশাপ বর্ষিত হোক।(তাবরানী) উপরোল্লিখিত হাদিস সমুহ দ্বারা এ কথাই প্রমাণ হয় যে, সাহাবারা সত্যের মাপকাঠি। তাঁদের সর্ম্পকে কোন ধরনের সমালোচনা করা যাবেনা। (মিরকাতুল মাফাতিহ-৬১০১ নং হাদীসের ব্যখ্যায় তাবারানি এর উদৃতিতে বর্ণিত)

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের (রাসুলুল্লাহ সঃ কর্তৃক ঘোষিত নাজাত প্রাপ্ত দল) আক্বিদাও এটাই যেالصحابة كلهم عدول অর্থাৎ -সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত।

স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেছেনঃ
رضى الله عنهم ورضوا عنه
“আল্লাহপাক তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট ও রাজী হয়ে গেছেন এবং তাঁরাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট এবং রাজী হয়ে গেছেন।(সুরা বায়্যিনাহ-পারা-৩০)

সুতরাং সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা কতটুকু? তা উপরোক্ত হাদীস সমূহ দ্বারা প্রতিয়মান হচ্ছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাহাবারা মা'ছুম বা নিষ্পাপ নন,তবে তারা মাগফুর তথা যাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে বা হবে।

আশারায়ে মুবাশশারা ব্যতিত যেহেতু সকল সাহাবী মাগফুর,তথা তাদেরকে ক্ষমা করা হয়েছে,তাই তারা জান্নাতি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...