আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in সালাত(Prayer) by (102 points)
আসসালামুআলাইকুম।

১) গোসলের পর প্রায়ই লজ্জাস্থানের মাথায় সামান্য একটু প্রসাব এসে থাকে এক ফোটার ও কম বলা যায়। এটি ধুলেও ধোয়ার কিছুক্ষণ পর আবার আসে।আগের ফতোয়ায় আপনি বলেছেন ধুলেই পবিত্র হবে।কিন্তু আমার তো অনেকবার আসতে থাকে।অনেকসময় বাহিরে থাকি।এভাবে বার বার ধোয়া তো কষ্টকর।আপনাদের এক ফতোয়ায় দেখেছি প্রসাবের পর ইস্তিনজার সময় শুধু টিসু দিয়ে মুছলেই পবিত্র হওয়া যায়।

তাই আমি যদি এরকম বারবার আসা সামান্য প্রসাব টিসু দিয়ে মুছি তাহলে কি শরীর পবিত্র হবে?

২)আপনাদের পূর্বের ফতোয়ায় দেখেছি মুসল্লির তাশাহুদ শেষ হয় নাই এমন সময় যদি ইমাম উঠে যায় তাহলে মুসল্লি তাশাহুদ শেষ করে তারপর উঠবে। মুসল্লির যদি তাশাহুদ একটু বেশি পরিমাণ বাকি থাকে তাহলেও কি শেষ করে উঠবে?শেষ করে উঠলেও ইমামকে দাড়ানো অবস্থায় পাবে কিন্তু একটু বেশি সময় লাগবে তখন মুসল্লি কি শেষ করে উঠবে নাকি ঈমামের সাথেই উঠবে?

৩) সূরা ফাতিহা এ আর রহমানির রহিম এই আয়াতে রহিম এ তিন আলিফ টানতে হয়। একজায়গায় দেখেছিলাম তিন আলিফ টানতে না পারলেও কমপক্ষে এক আলিফ টানতে হবে।কেউ যদি এক আলিফও না টানে তাহলে লাহনে জলি হবে?

ছির- তল্লজিনা এই আয়াতে ছির এর র তে এক আলিফ যদি কেউ না টানে।

উল্লিখিত দুইটি সুরতে কি লাহনে জলি হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
ধৌত করা বা টিস্যু দ্বারা মুছা, এ দু'টির যেকোনো একটি আপনি করতে পারবেন। সুতরাং টিস্যু দ্বারা মুছলেও পবিত্রতা অর্জন হবে।

(২)
জ্বী, তাশাহুদ বেশী পরিমাণে থাকলেও শেষ করে তবেই মুক্তাদি বৈঠক থেকে উঠবে।

(৩)
পূর্বের অনেক ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং আর-রহমানির-রহি---ম এবং ছিরা----তাল্লজিনা, এই দুনু শব্দে লম্বা না করে পড়ার কারণে লাহনে জ্বলি হবে না।এবং নামাযও ফাসিদ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...