ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, আপনার নামায হয়েছে।কেননা দুরুদ শরীফ ওয়াজিব নয় বরং সুন্নত। সুতরাং দুরুদে আগপিছ হলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
যেহেতু আপনি গোসলের সময়ে মুখকে ভাল করে ধৌত করে নিয়েছেন, তাই আপনি পবিত্র হয়ে গেছেন। ফরয গোসলে অজু করা মুস্তাহাব। সুতরাং ফরয গোসলের পূর্বে অজুতে সমস্যা হলেও পবিত্রতা অর্জনে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না।
(৩)
মুসাল্লির তাসবিহ পড়া বাকী থাকলে, এবং এমতাবস্থায় ইমাম দাড়িয়ে গেলে মুসাল্লি তাসবিহকে শেষ করে তারপর ইমামের অনুসরণ করবে।
(৪)
জ্বী, আপনার নামায হয়েছে।
(৫)
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সালামের উচ্ছারণে আইন এর স্থলে হামযা বা আলিফ হলেও নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(৬)
যেহেতু সহবাসের ইচ্ছা নেই,তাই হুরমত প্রমাণিত হবে না।
https://www.ifatwa.info/1233 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
উক্ত নারীর সাথে সহবাসের কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।
لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة)
ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا
অর্থাৎ- যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে(তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না। (ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা)
(৭)
জ্বী,বিভিন্ন দেশে দেশে গিয়ে সাহাবাগণ দ্বীনের দাওয়াত দিয়েছেন।