আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
544 views
in সালাত(Prayer) by (102 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম।

১)নামাজে দরুদ শরীফের প্রথম অংশে কামা সল্লাইতা পড়তে হয় আর দ্বিতীয় অংশে কামা বা রকতা পড়তে হয়। জোহরের নামাজের শেষ বৈঠকে সন্দেহ হয় যে আমি হয়তো দুই অংশেই কামা বা রকতা পড়েছি। নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। সাহু সিজদাও দেই নাই কারন দরুদ তো ওয়াজিব না।নামাজ কি হয়েছে?

২)ফরজ গোসলে অজু করলে আর আলাদা ওযু করতে হয় না জানি।ফরজ গোসলে অযুর সময় অযুর ফরজ অঙ্গ মুখে ভালো করে পানি ভিজলো না ।কিন্তু গোসল শুরু করার পর সম্পূর্ন মুখ ভাল করে ধূয়েছিলাম।এতে কি অজু হয়ে গেছে?

৩)জামাতে নামাজের সময় রুকুতে বা সিজদাতে যদি মুসল্লির একবার বা দুইবার তাসবিহ পড়া বাকি থাকে আর ইমাম যদি উঠে যায় তাহলে কি মুসল্লি শেষ করে উঠবে?

৪) সিজদাতে একবার তাসবিহ পড়ে দ্বিতীয় বার পরতেছলাম তখনি ইমাম উঠে গিয়েছেন আমি দ্রুত বাকি দুই তাসবিহ পরে উঠেছি এতে কি নামাজ হবে?

৫)নামাজে যথেষ্ট ভর দেওয়ার পরেও যদি আসসালামু আলাইকুম এর আইনের উচ্চারণ যদি কিছুটা আলিফের মত হয় তাহলে কি নামাজ ফাসিদ হবে? প্রায়ই এমনটা হয়!

৬)আমি শুয়ে ছিলাম।আমার গোপনাঙ্গ কোনো রকম উত্তেজনা ছাড়াই এমনিতে আগে থেকেই দাড়িয়ে গিয়েছিল। দাড়িয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ ছিল তখন আমার মায়ের পা আমার পায়ে একবার লাগে সাথে সাথে আমি সরে যাই।লিঙ্গ আগে থেকেই দাড়িয়ে ছিল আর কোনো উত্তেজনা বা কামভাব ছিল না।এতে কি হুরমত হবে?

৭) সাহাবীরা কি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গিয়ে ইসলামের দাওয়াত দিতেন?

৮) এশার নামাজ আমি মাসবূক ছিলাম। ইমামকে রুকু অবস্থায় পেলে তাড়াতাড়ি রুকু করি।দুইবার ঠিক মতোই তাসবিহ পাঠ করি।শেষের বার তাড়াতাড়ি তাসবিহ পাঠ করতে গিয়ে সুবহানা রবিয়াল আজীম এ আজিম এর আইনের যায়গায় আলিফ পরে ফেলি।এতে কি লাহনে জলি হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, আপনার নামায হয়েছে।কেননা দুরুদ শরীফ ওয়াজিব নয় বরং সুন্নত। সুতরাং দুরুদে আগপিছ হলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
যেহেতু আপনি গোসলের সময়ে মুখকে ভাল করে ধৌত করে নিয়েছেন, তাই আপনি পবিত্র হয়ে গেছেন। ফরয গোসলে অজু করা মুস্তাহাব। সুতরাং ফরয গোসলের পূর্বে অজুতে সমস্যা হলেও পবিত্রতা অর্জনে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না।

(৩)
মুসাল্লির তাসবিহ পড়া বাকী থাকলে, এবং এমতাবস্থায় ইমাম দাড়িয়ে গেলে মুসাল্লি তাসবিহকে শেষ করে তারপর ইমামের অনুসরণ করবে।

(৪)
জ্বী, আপনার নামায হয়েছে।

(৫)
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সালামের উচ্ছারণে আইন এর স্থলে হামযা বা আলিফ হলেও নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।

(৬)
যেহেতু সহবাসের ইচ্ছা নেই,তাই হুরমত প্রমাণিত হবে না।
https://www.ifatwa.info/1233 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
উক্ত নারীর সাথে সহবাসের কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।
لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة)
ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا
অর্থাৎ- যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে(তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না। (ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা)

(৭)
জ্বী,বিভিন্ন দেশে দেশে গিয়ে সাহাবাগণ দ্বীনের দাওয়াত দিয়েছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 135 views
...