আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
178 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম।প্র

প্রশ্নটি  একজন ছোট বোনের পক্ষ থেকে।
আমি দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। একজন মুসলিম হিসেবে স্কুলের সবার সাথে মিলেমিশে ভালো ব্যবহার করার চেষ্টা করি। অনেকের অতি অন্তরঙ্গ কিছু বান্ধবী থাকে যাদেরকে বেস্ট ফ্রেন্ড বলে। আমার তেমন কেউ নেই। সবার সাথেই আমি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করার চেষ্টা করি এবং সাধ্যমত সাহায্য করি। কিন্তু গত এক বছর ধরে একজন অমুসলিম মেয়ে আমার সাথে বেশি ক্লোজ হতে চাইছে। মানে আমার সাথে বেশি কথা বলা, মেলামেশা, একসাথে বাসায় ফেরা সবসময় আমার   সাথে থাকতে চায়। কিন্তু একজন আলেমের কাছ থেকে শুনেছিলাম, কাফেরের চেয়ে মুসলিমকে বন্ধু হিসেবে নেয়া উচিত।

১. এখন অমুসলিম মেয়েটার সাথে আমার মেলামেশার সীমারেখা কতটুকু হওয়া উচিত? এতে কি আমার গুনাহ হবে?? আমি কি তাকে এড়িয়ে চলবো?

২. সে আমার জন্মদিনেে জোর করে একটা হাঁসের শো পিস দিয়েছিল যেটা আমি এক কোনায় ফেলে রেখেছি। অথচ তাকে আমি জন্মদিনের কথা বলি নি। সেটা কি আমি ভেঙে ফেলব?

৩. জন্মদিনের দিন বান্ধবীরা চায় তাদেরকে যেন কিছু খাওয়াই। এটা কি জায়েজ?

দুঃখিত বেশি লিখে ফেলেছি। আসলে খুব দ্বিধাগ্রস্ত।

1 Answer

+1 vote
by (589,740 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ককে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَّ يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاء مِن دُوْنِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللّهِ فِي شَيْءٍ إِلاَّ أَن تَتَّقُواْ مِنْهُمْ تُقَاةً وَيُحَذِّرُكُمُ اللّهُ نَفْسَهُ وَإِلَى اللّهِ الْمَصِيرُ
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।(সূরা আলে ইমরান-২৮)

কোনো অমুসলিমকে ইসলামের দিকে দীক্ষিত করতে,বা কোনো প্রভাবশালী অমুসলিমের ক্ষতি থেকে নিজেকে হেফাজত করতে তার সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্ব রাখা যায়,তবে আন্তরিক বন্ধুত্ব স্থাপন কখনো জায়েয হবে না।

(২)
অমুসলিম থেকে হাদিয়্যা গ্রহণ নাজায়েয নয়।তবে হারাম কোনো জিনিষ হাদিয়্যা হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1382
নিজের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কারো নিকট থেকে কিছু গ্রহণ করা জায়েয হবে না।তবে মনকষ্ট হওয়ার আশংকা থাকলে গ্রহণ করে অন্যকে দিয়ে দেয়া যাবে।বিশেষ করে নিজের জন্মদিনে অমুসলিম থেকে কিছুও গ্রহণ করা যাবে না।

(৩)না এটা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...