আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
376 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

★শায়েখ, নিচের দুআটা একটা অনলাইন পত্রিকায় পেয়েছি। সেখানে লেখা ছিল সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীণগণ এই দুআটা করতেন। কিন্তু সেখানে কোনো রেফারেন্স দেয়া হয় নি। যদি এই দুআর কোনো রেফারেন্স থাকে, তাহলে উল্লেখ করে দিয়েন শায়েখ। আর আমি কি দুআটা মুনাজাতে পড়তে পারবো?

اَللَّهُمَّ ارْزُقْنَا حُبَّكَ وَ حُبَّ نَبِيِّكَ وَ حُبَّ بَيْتِه وَ اَصْحَابِه
وَارْزُقْنَا اتِّبَاعَ سُنَّتِه وَاَحْيِنَا فِىْ مِلَّتِه وَاحْشُرْنَا فِىْ زُمْرَتِه
وَاَدْخِلْنَا فِىْ عُشَّاقِه وَ خُدَّامِ دِيْنِه -

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মারযুক্বনা হুব্বাকা ওয়া হুব্বা নবিয়্যিকা ওয়া হুব্বা বায়তিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়ারযুক্বনাত্তিবাআ সুন্নাতিহি ওয়া আহয়িনা ফি মিল্লাতিহি ওয়াহশুরনা ফি যুমরাতিহি ওয়া আদখিলনা ফি উশ্শাক্বিহি ওয়া খুদ্দামি দ্বীনিহি।

অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার ও তোমার নবির ভালোবাসা আমাদের দান করো। রাসুলের পরিবার ও সঙ্গী-সাথীদের ভালোবাসাও আমাদের দান করো। প্রিয়নবির সুন্নাতের অনুসরণ করার তাওফিক দান করো। প্রিয়নবির দ্বীনের ওপর চলার তাওফিক দান করো। আমাদেরকে তার ভালোবাসা লাভ ও দ্বীনের খাদেম হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে নাও।
closed

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
selected by
 
Best answer

 

 

بسم الله الرحمن الرحيم

 

জবাব,

আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যমেই সম্ভব পরকালের পরিপূর্ণ সফলতা। আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে তার ভালোবাসা লাভের জন্য প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্যকে শর্ত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

কারো আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশই হলো ওই ব্যক্তির কাজ ও নির্দেশগুলোকে ভালোবেসে অনুসরণ ও অনুকরণ করা।

এ কারণেই সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবয়ীনসহ ওলামা-মাশায়েকরা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পথ ও মতে জীবন পরিচালনা করতেন। তাঁর ভালোবাসা লাভে কাতরকণ্ঠে রোনাজারি করতেন। আল্লাহর কাছে তাদের রোনাজারির ভাষা ছিল এমন-

 

 

আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার পূর্বশত হচ্ছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণ করা। তারপরও প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য পয়গম্বর হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের একটি দোয়া উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য তুলে ধরেছেন।

কুরআনুল কারিমে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার সুনির্দিষ্ট উপায় ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন-

قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

(হে রাসুল! আপনি) বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদের ভালোবাসেন এবং তোমাদের পাপ ক্ষমা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।’ (সুরা ইমরান : আয়াত ৩১)

হজরত দাউদ আলাইহিস সালাম আল্লাহর পরিপূর্ণ ভালোবাসা পেতে সবসময় একটি দোয়া করতেন। উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই দোয়াটি তুলে ধরেছেন। তাহলো-

হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দাউদ আলাইহিস সালামের দোয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি বলতেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ وَالْعَمَلَ الَّذِي يُبَلِّغُنِي حُبَّكَ اللَّهُمَّ اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَىَّ مِنْ نَفْسِي وَأَهْلِي وَمِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার ভালোবাসা চাই এবং যে তোমাকে ভালোবাসে তার ভালোবাসাও প্রার্থনা করি। আর এমন আমল করার সামর্থ্য চাই যা তোমার ভালোবাসা পাওয়ার দরজায় পৌঁছে দেবে। হে আল্লাহ! তোমার ভালোবাসাকে আমার নিজের জান-মাল, পরিবার-পরিজন ও ঠান্ডা পানির চেয়েও বেশি প্রিয় করে দাও।’ (তিরমিজি)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবয়ীনসহ ওলামা-মাশায়েখরা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পথ ও মতে জীবন পরিচালনা করতেন। তাঁর ভালোবাসা লাভ করার জন্য বিভিন্ন বাক্যে ও শব্দে দোয়া করতেন ,তন্মধ্যে প্রশ্নেলিখিত দোয়াটিও বিভিন্ন মাসনূন দোয়ার কিতাবে পাওয়া যায়।

وَارْزُقْنَا اتِّبَاعَ سُنَّتِه وَاَحْيِنَا فِىْ مِلَّتِه وَاحْشُرْنَا فِىْ زُمْرَتِه اَللَّهُمَّ ارْزُقْنَا حُبَّكَ وَ حُبَّ نَبِيِّكَ وَ حُبَّ بَيْتِه وَ اَصْحَابِه وَاَدْخِلْنَا فِىْ عُشَّاقِه وَ خُدَّامِ دِيْنِه 

 

 

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...