بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
আমরা https://ifatwa.info/13429/ ফতওয়াতে উল্লোখ করেছি যে,নারীদের পর্দার তিনটি স্থর আছে।
প্রথম স্থরঃ মহিলা সর্বাবস্থায় ঘরে বসে থাকবে,অর্থাৎ ঘরের ভিতর থাকার মাধ্যমে
ব্যক্তি পর্দা করবে।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺄَﻟْﺘُﻤُﻮﻫُﻦَّ
ﻣَﺘَﺎﻋًﺎ ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﻫُﻦَّ ﻣِﻦ ﻭَﺭَﺍﺀ ﺣِﺠَﺎﺏٍ ﺫَﻟِﻜُﻢْ ﺃَﻃْﻬَﺮُ ﻟِﻘُﻠُﻮﺑِﻜُﻢْ ﻭَﻗُﻠُﻮﺑِﻬِﻦَّ
তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার
আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার
কারণ।{সূরা আহযাব-৫৩}
ﻭَﻗَﺮْﻥَ ﻓِﻲ ﺑُﻴُﻮﺗِﻜُﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺒَﺮَّﺟْﻦَ ﺗَﺒَﺮُّﺝَ
ﺍﻟْﺠَﺎﻫِﻠِﻴَّﺔِ ﺍﻟْﺄُﻭﻟَﻰ ﻭَﺃَﻗِﻤْﻦَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﺁﺗِﻴﻦَ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺃَﻃِﻌْﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻭَﺭَﺳُﻮﻟَﻪُ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴُﺬْﻫِﺐَ ﻋَﻨﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺟْﺲَ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ
ﻭَﻳُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢْ ﺗَﻄْﻬِﻴﺮًﺍ
তরজমাঃতোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা
যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ
ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের
থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।(সূরা-আহযাব-৩৩)
দ্বিতীয় স্থরঃ
প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে,এক্ষেত্রে এক বা উভয় চক্ষু খোলা রেখে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখতে হবে। যেমন
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ
ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﻗُﻞ ﻟِّﺄَﺯْﻭَﺍﺟِﻚَ ﻭَﺑَﻨَﺎﺗِﻚَ ﻭَﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳُﺪْﻧِﻴﻦَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻦَّ
ﻣِﻦ ﺟَﻠَﺎﺑِﻴﺒِﻬِﻦَّ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺩْﻧَﻰ ﺃَﻥ ﻳُﻌْﺮَﻓْﻦَ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﺆْﺫَﻳْﻦَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻏَﻔُﻮﺭًﺍ ﺭَّﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে
এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ
হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫৯)
তৃতীয় স্থরঃ
মহিলাদের সমস্ত দেহ আবৃত থাকবে কিন্তু ফিতনার
আশংকা না থাকলে মুখমণ্ডল ও হাতের তালু খোলা রাখা যাবে।এ স্থর নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।তবে
সর্বাবস্থায় ফিতনার আশংকা না থাকাই লক্ষণীয়। আরো জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/572
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১.পুরুষের জন্য যেভাবে গাড়ি চালানো জায়েয ঠিকতেমনি
ভাবে নারীদের জন্যও মূলত সাইকেল বা গাড়ী চালানো জায়েয় হওয়ার কথা। তবে পর্দা রক্ষার্থে ফুকাহায়ে কেরাম এ সিদ্ধান্তে দেন যে, নারীদের জন্য সাইকেল বা গাড়ী
চালানো নাজায়েয হওয়াই উচিৎ।কেননা এতে অনেক প্রকারের গোনাহ থেকে নিজেকে বাঁচানো যাবে।১২
বছরের একটি মেয়ে সাধারণত বালেগা হয়ে যায় অথবা বালেগা হওয়ার নিকটবর্তী হয়ে যায়। বিধায়
ফেতনার এই যুগে শখের বশবর্তী হওয়া এমন মেয়েকে সাইকেল কিনে না দেওয়াই উচিত।
২.বাইকে নিজ মাহরামের পিছনে বসাও জায়েয হবে
না। কেননা এতে মাহরামের সাথে শরীরের এমন অংশের স্পর্শ হতে পারে, যার স্পর্শ কখনো জায়েয় নয়
এবং পর্দার খেলাপও হতে পারে। এমনকি নিজ স্বামীর সাথে বাইকের পিছনে
বসার ব্যাপারে নিরুসাহিত করে থাকেন । কেননা এতে পর্দা লঙ্ঘন হওয়ার সম্ভবনা থাকে।