আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (84 points)
আসসালামু আলাইকুম,
মেয়েরা সামনের কিছু চুল ছোট রাখলে, (চুল মুন্ডন না,সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কিছুটা ছোট।যেমন সামনে গালের শেষ পর্যন্ত আর পিছনে কোমড় পর্যন্ত)

কেন সেটা কুযা হবে?

আমরা তো জানি কুযা মানে মাথার একাংশ কামাই করা বা মুন্ডন করা। তাহলে তো এটা কুযার সংজ্ঞায় পড়লো না!!

তাহলে মেয়েরা সামনের চুল কিছুটা ছোট করে কাটলে, যদি তাদেরকে আরো সুন্দর লাগে, পুরুষ সাদৃশ্য না দেখায়, আবার তার নিয়ত বিজাতীয় দের অনুকরন করাও না,

তবে কেন জায়েজ হবে না??

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ : سَمِعْتُ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَنْهَى عَنِ الْقَزَعِ . قِيلَ لِنَافِعٍ : مَا الْقَزَعُ ؟ قَالَ : يُحْلَقُ بَعْضُ رَأْسِ الصَّبِيِّ ، وَيُتْرَكُ الْبَعْضُ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ .

নাফি‘ (রহিমাহুল্লাহ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কাযা‘ হতে নিষেধ করতে শুনেছি। নাফি‘-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কাযা‘ কি? তিনি বললেনঃ বালকদের মাথার কিছু চুল মুড়িয়ে ফেলা এবং কিছু চুল রেখে দেয়া।
সহীহ : বুখারী ৫৯২০, মুসলিম (২১২০)-১১৩, নাসায়ী ৫২২৮, আবূ দাঊদ ৪১৯৩, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১১২৩, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫২৭২, মা‘রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাক্বী ৫৯১৪, মুসনাদে আহমাদ ৪৪৭৩, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ২৮০, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৭৭৯।

★ ‘কুযা’ কয়েক প্রকার হতে পারে:
১। মাথার কিছু কিছু জায়গার চুল কামাই করে অপর কিছু কিছু জায়গা রেখে দেওয়া।
২। মাথার সাইডের চুলগুলো কামাই করে মাঝখানের চুলগুলো রেখে দেওয়া।
৩। মাথার মাঝখানের চুলগুলো কামাই করে সাইডের চুলগুলো রেখে দেওয়া।
৪। মাথার সামনের চুলগুলো কামাই করে পিছনের চুলগুলো রেখে দেওয়া।
৫। মাথার পিছনের চুলগুলো কামাই করে সামনের চুলগুলো রেখে দেওয়া।
৬। মাথার এক পার্শ্বের কিছু চুল কামাই করে বাকীগুলো রেখে দেওয়া।

আরো জানুনঃ 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
সামনে থেকে কিছু অংশ চুল কেটে ফেলাকে কিছু মুহাদ্দিসিনে কেরামগন কুযা বলে অবিহিত করেছেন।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি কুযারই অন্তর্ভুক্ত। 

কিছু স্কলারদের মতে এটি কুযা নয়,তবে তারপরেও এটি বিধর্মী ও ফাসেকদের সাথে সাদৃশ্য হওয়ায় তাহা জায়েজ নেই।
,
★★স্বামীর সামনে নিজের চুলের সৌন্দর্য অবলম্বন করা উদ্দেশ্য হয় বা লম্বা চুলের কষ্ট লাঘবের উদ্দেশ্যে হয় বা এ জাতীয় গ্রহনযোগ্য উদ্দেশ্যে  কিছু  শর্ত  সাপেক্ষে মহিলাদের চুল ছোট করা জায়েয আছে। 

এ মর্মে হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে,

كَانَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْخُذْنَ مِنْ رُءُوسِهِنَّ حَتَّى تَكُونَ كَالْوَفْرَةِ ) رواه مسلم (320) .

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীগণ এমনভাবে তাদের মাথার চুল কাটতেন যে, তা কাঁধ থেকে একটু নিচে যেত বা কান বরাবর হত।” (সহীহ মুসলিম, হা/৩২০)

ইমাম নওবী রহ. উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন:
” فيه دليل على جواز تخفيف الشعور للنساء ” انتهى. ” شرح مسلم ” (4/5)
“এতে প্রমাণিত হয় যে, নারীদের চুল কেটে হালকা করা জায়েয।” (শরহে মুসলিম ৫/৪)

মহিলাদের চুল কাটা সম্পর্কে শর্ত সমূহ বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...