জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
বিশিষ্ট তাবেয়ি শুবাহ (রহ.) বলেন-
عَنْ شُعْبَةَ ، قَالَ : سَأَلْتُ الْحَكَمَ ، وَحَمَّادًا عَنْ خُرْءِ الطَّيْرِ ؟ فَقَالاَ : لاَ بَأْسَ بِهِ
‘আমি হাকাম ও হাম্মাদ (রহ.)কে পাখির বিষ্ঠা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেন: কোন সমস্যা নেই।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ১২৬৬]
পাখির ক্ষেত্রে তাদের বিষ্ঠা নাপাক হওয়ার মূলনীতি হলোঃ
যেসব পাখির গোশত খাওয়া হালাল এবং উড়ে বেড়ায় সেগুলোর বিষ্ঠা নাপাক নয়।
রদ্দুল মুহতার ১/৩২০.আহসানুল ফাতওয়া ২/৮৪.ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ১/৩২২)
,
ফাতাওয়ায়ে শামীর ইবারতঃ
وفي “الدر المختار” مع “رد المحتار” 577:1، ط: الأزهر، ( وخرء ) كل طير لا يذرق في الهواء كبط أهلي (ودجاج ) أما ما يذرق فيه ، فإن مأكولا فطاهر وإلا فمخفف. وقال ابن عابدين رح تحت قوله: ( قوله : فإن مأكولا ) كحمام وعصفور .اهـ.
সারমর্মঃ যেসব পাখি হাওয়ায় উড়ে বেড়ায়,সেগুলোর গোশত খাওয়া যদি হালাল হয়,তাহলে তার বিষ্ঠা পাক।
অন্যথায় নাজাসাতে খফিফাহ।
গৃহপালিত হাঁস মুরগী এগুলো উড়তে পারেনা,এগুলোর বিষ্ঠা নাপাক।
আরো জানুনঃ
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার নিকাবে কোন ধরনের পাখির মল লেগেছে?
যেসব পাখির গোশত খাওয়া হালাল এবং উড়ে বেড়ায় সেগুলোর বিষ্ঠা লেগে থাকলে কোনো সমস্যা নেই।
কেননা সেটি পাক।
গোশত হারাম হলে সেটি নাজাসাতে খফিফাহ।
আপনি যদি এ সংক্রান্ত না জানেন,তাহলে আপনি সেটিকে সতর্কতামূলক নাজাসাতে খফিফা ধরে নিবেন।
সেক্ষেত্রে নেকাবের এক চতুর্থাংশ থেকে কম লাগলে তো সেটি মাফ।
ধুতে হলে অবশ্যই তিনবার ধৌত করতে হবে,আর প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নেকাব ধোয়ার সময় তিনবার ধোয়া আর প্রত্যেকবার নিংড়ানো হয়ে থাকলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
,
কিন্তু যদি তিনবার ধোয়া না হয়,তাহলে সেটি পাক হয়নি।
এক্ষেত্রে সেই পানি হিজাবে যে লেগেছে,এক্ষেত্রে যদি তাহা সামান্যই হয়,তাহলে মাফ হবে।
আর যদি হিজাবের যেই অংশে সেই পানি লেগেছে,সেই অংগের এক চতুর্থাংশ থেকে কম লাগলে তো সেটি মাফ।
অন্যথায় তাহা নাপাক হবে,সেই হিজাব ও নিকাব পরিহিত অবস্থায় নামাজ হবেনা।
,
তবে সেই কাপড় পরিধান অবস্থায় খাবার খেলে বা চলা ফেরা করলে কোনো সমস্যা হবেনা।