ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
★গাছপালা ও প্রাণহীন বস্তুর ছবি প্রস্তুত করা জায়েজ আছে।
হাদীস শরীফে এসেছে-
ﻋَﻦْ ﺳَﻌِﻴﺪِ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﺍﻟْﺤَﺴَﻦِ ﻗَﺎﻝَ : ﺟَﺎﺀَ ﺭَﺟُﻞٌ ﺇِﻟَﻰ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺇِﻧِّﻲ ﺭَﺟُﻞٌ ﺃُﺻَﻮِّﺭُ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟﺼُّﻮَﺭَ، ﻓَﺄَﻓْﺘِﻨِﻲ ﻓِﻴﻬَﺎ . ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟَﻪُ : ﺍﺩْﻥُ ﻣِﻨِّﻲ . ﻓَﺪَﻧَﺎ ﻣِﻨْﻪُ، ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ : ﺍﺩْﻥُ ﻣِﻨِّﻲ . ﻓَﺪَﻧَﺎ ﺣَﺘَّﻰَ ﻭَﺿَﻊَ ﻳَﺪَﻩُ ﻋَﻠَﻰَ ﺭَﺃْﺳِﻪِ ، ﻗَﺎﻝَ : ﺃُﻧَﺒُّﺌُﻚَ ﺑِﻤَﺎ ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - . ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - ﻳَﻘُﻮﻝُ : " ﻛُﻞُّ ﻣُﺼَﻮِّﺭٍ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ، ﻳَﺠْﻌَﻞُ ﻟَﻪُ ﺑِﻜُﻞِّ ﺻُﻮﺭَﺓٍ ﺻَﻮَّﺭَﻫَﺎ ﻧَﻔْﺴﺎً ، ﻓَﺘُﻌَﺬِّﺑُﻪُ ﻓِﻲ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ . " ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪُ ، ﻓَﺄَﻗَﺮَّ ﺑِﻪِ ﻧَﺼْﺮُ ﺑْﻦُ ﻋَﻠِﻲٍّ .
ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 2225 ) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ﻭﺍﺍﻟﻔﻆ ﻟﻪ
হযরত সাঈদ ইবনে আবিল হাসান রাহ, থেকে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রা.) এর নিকট এসে বলল, আমি এসব ছবি অঙ্কন করে থাকি; তাই এ ব্যাপারে আপনি আমাকে ফাতাওয়া দিন। তিনি বললেন, তুমি আমার কাছে এসো। সে তার নিকটে এলে তিনি বললেন, (আরও) নিকটে এসো। সে (আরও) নিকটে এলো। পরিশেষে তিনি তার মাথায় হাত রেখে বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যা শুনেছি, তাই তোমাকে বলব। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি - প্রত্যেক ছবি প্রস্তুতকারী জাহান্নামের অধিবাসী হবে। তার তৈরিকৃত প্রতিটি ছবিতে জীবন দেয়া হবে, সে সময় জাহান্নামে তাকে ঐগুলো আযাব দিতে থাকবে। তিনি আরও বললেন, তোমাকে একান্তই যদি (তা) করতে হয়, তাহলে গাছ (পালা) এবং প্রাণহীন বস্তুর (ছবি) প্রস্তুত করো।[ইমাম মুসলিম (রহঃ) এ হাদীস পড়ে শুনালে] নাসর ইবনু আলী (রহঃ) তার অনুমতি দিলেন। সহীহ বুখারী-[২২২৫]সহীহ মুসলিম [৫৪৩৩]
ifatwa.info/10771/ ফাতাওয়াতে বলা হয়েছে যে,
ছবি ফটো ও মুর্তি ভাস্কর্য সবকিছুই হারাম ও নাজায়েয। ফটো-ভাস্কর্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2253
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি ব্যবহারিক জিনিষে এত ছোট্ট পরিমাণ ফটো থাকে যে,উক্ত জিনিষ জমিনে থাকাবস্থায় দাড়িয়ে সেটার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দৃষ্টিগোচর হয় না,তাহলে এমন ফটো থাকার কারণে উক্ত জিনিষের ব্যবহার হারাম হবে না।হ্যা যিনি বানাবেন,তিনি অবশ্যই বড় আকৃতির ফটো বানানোর সমপর্যায়ের গোনাহগার হবেন। অথবা যদি ফটো মাথা কর্তিত থাকে বা এমন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কর্তিত অবস্থায় থাকে,যা না থাকার কারণে প্রাণী জীবিত থাকতে পারে না,অথবা কোথাও অসম্মানের সাথে ফটোকে রাখা হয়,তাহলে এজাতীয় ফটো সমূহের ব্যবহার অবৈধ হবে না।
যদি ছবি এত ছোট হয় যে,স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি দাড়ানো অবস্থায় জমিনে অবস্থিত ছবির অঙ্গ সমূহের পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে না,তাহলে এমন ফটো/ছবি নাজায়েয হবে না।বরং এগুলো ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।যদিও এমন ছবি বানানো হারাম।ব্যবহার এজন্য অনুমোদিত, কেননা হাদীসে প্রমাণিত রয়েছে যে,কোন কোন সাহাবীর আংটিতে ছোট্ট ফটো ছিলো(জাওয়াহিরুল ফিকহ-৭/২৫৯
কিতাবুন-নাওয়াযিল-১৬/৫২৮)
في الدرالمختار ج١-ص٦٤٨
(أو كانت صغيرة) لا تتبين تفاصيل أعضائها للناظر قائما وهي على الأرض، ذكره الحلبي (أو مقطوعة الرأس أو الوجه) أو ممحوة عضو لا تعيش بدونه
و في حاشية ابن عابدين (قوله لا تتبين إلخ) هذا أضبط مما في القهستاني حيث قال بحيث لا تبدو للناظر إلا بتبصر بليغ كما في الكرماني، أو لا تبدو له من بعيد كما في المحيط ثم قال: لكن في الخزانة: إن كانت الصورة مقدار طير يكره، وإن كانت أصغر فلا. اهـ.
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
যদি ব্যবহারিক জিনিষে এত ছোট্ট পরিমাণ ফটো থাকে যে,উক্ত জিনিষ জমিনে থাকাবস্থায় দাড়িয়ে সেটার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দৃষ্টিগোচর হয় না,তাহলে এমন ফটো থাকার কারণে উক্ত জিনিষের ব্যবহার হারাম হবে না।হ্যা যিনি বানাবেন,তিনি অবশ্যই বড় আকৃতির ফটো বানানোর সমপর্যায়ের গোনাহগার হবেন।
অথবা যদি ফটো মাথা কর্তিত থাকে বা এমন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কর্তিত অবস্থায় থাকে,যা না থাকার কারণে প্রাণী জীবিত থাকতে পারে না,অথবা কোথাও অসম্মানের সাথে ফটোকে রাখা হয়,তাহলে এজাতীয় ফটো সমূহের ব্যবহার অবৈধ হবে না।বিস্তারিত জানুন-(জাওয়াহিরুল ফিকহ-৭/২৫৯)......আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/1955
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত স্টিকারগুলো যেহেতু জড়বস্তুর (চাঁদের) স্টিকার, যার কোনো প্রাণ নেই, তাই তা রাখা হারাম হবে না৷ সুতরাং উক্ত স্টিকার থাকা অবস্থায় রহমতের ফেরেশতা আসতে কোনো সমস্যা নেই৷ তবে যেহেতু উক্ত স্টিকারগুলোর নাক, মুখ আঁকা আছে যা কিছুটা প্রাণীর ছবির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ৷ সুতরাং উক্ত স্টিকারগুলো না রাখাই হলো তাকওয়ার নিকটবর্তী৷