আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্ ,
উস্তাদজী ,
১ ---- হায়েজ নেফাস অবস্থায় চার কুল , আয়াতুল কুরসি , বাকারার শেষ দুই আয়াত দুআ পড়া যাবে কি ,
বা

হায়েজ নেফাস অবস্থায় কুরআনের কোন কোন আয়াত দুআ হিসেবে পড়া যাবে হেফাজতের জন্য ,
বা

কি কি আমল করতে পারি আমরা হেফাজতের জন্য ।

২-----  হিন্দু মেয়েদের সামনে মুসলিম মেয়েদের পর্দা কি ফরয বিধান, ? করতেই হবে ?

৩---- উস্তাদজী মনে করেন আমি আপনার হয়ে কিছু দুআ বা জিকির, কালিমা,ইস্তেগফার পড়ে দিলাম আল্লাহর কাছে এবং আল্লাহর কাছে বললাম আল্লাহ্ এর জন্য আমার উস্তাদ কে ক্ষমা করে দেন তাকে হেদায়েত দান করুন , বা এই দুআর সওয়াব তার আমলনামায় জমা করে দিন, তবে কি হবে এমন দুআ করলে । ? আপনার কি সওয়াব হবে?

৪  --- কোন মেয়ে স্কুলে যায় এবং তার কুরআন মশক বা পড়া থাকে ৩ টায় তবে তার স্কুল থেকে এসে সম্পূর্ণ সালাত আদায় করে , কুরআনের মশকে যেতে দেরী হয়ে যায় , সেক্ষেত্রে কি সে শুধু জোহরের ফরয সালাত আদায় করে কুরআনের মশকে যেতে পারে? নাকি অন্য মাসআলা বা কি করলে ভালো হয় ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7218 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/793

হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ  যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।

তারা দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন,হায়েয অবস্থায় কুরআনকে স্পর্শ করা যাবে না।
হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত সম্পর্কে স্পষ্টকরে কিছু আসেনি।তবে হাদীসে স্পষ্টভাবে কুরআন তিলাওয়াত নিয়ে বর্ণিত হয়েছে,
(১)হায়েযা মহিলা জুনুবী মহিলার মতই।যেহেতু উভয়ই গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হন।হযরত আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن علي بن أبي طالب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم  كان يعلمهم القرآن وكان لا يحجزه عن القرآن إلا الجنابة "
রাসূলুল্লাহ সাঃ লোকদিগকে কুরআন শিক্ষা দিতেন।জানাবত তথা সহবাস ও স্বপ্নদোষ পরবর্তী অপবিত্রতা ব্যতীত অন্যকোনো জিনিষ কুরআন শিক্ষা থেকে বাধা দিত না।(সুনানু আবি-দাউদ-১/২৮১,সুনানু তিরমিযি-১৪৬,সুনানু নাসাঈ-১/১৪৪,সুনানু ইবনি মা'জা-১/২০৭মসনদে আহমদ-১/৮৪,সহীহ ইবনে খুযাইমাহ-১/১০৪)

হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم  قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/389

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
(১)
'সূরা৷ ফাতিহা, চার কুল' মশক ক্লাসে দু'য়ার নিয়তে পড়া যাবে। তবে মশক হিসেবে পড়া যাবে না। আপনি হয়তো দুআর জন্য এক দুই বার পড়া হয়ে থাকে, তাই একদুই বারের বেশী পড়লে তখন দুআর নিয়ত বাকী থাকে না। বরং তখন তিলাওয়াতের নিয়ত চলে আসে।

সূরা মূলক তিলাওয়াত করা ফরয বা ওয়াজিব কিছু নয়, সুতরাং এ সুরা তিলাওয়াত না করলেও কোনো সমস্যা হবে না।

(২) হিন্দু মেয়ের সামনে মুসলিম মহিলার সতর ঢেকে রাখা ফরয।তবে হিজাব ফরয নয়।হ্যা হিজাব করা অবশ্যই উত্তম।

(৩)
জ্বী, এভাবে সওয়াব পৌছানো যাবে।

(৪) সে জোহরের ফরয সুন্নত পড়ে তবেই মশকের ক্লাসে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...