بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
সমাজ বা রাষ্ট্রে একমাত্র আল্লাহর আইন-ই চলবে, এটাই কুরআনের
চাহিদা, দ্বীনে ইসলামের চাহিদা। এজন্যই সর্বদা সমাজ ও রাষ্ট্রের
প্রতিটি স্তরে ইসালামী আইন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে হবে।
মানবরচিত আইনে পরিচালিত বিচারালয়ে চাকুরী করা হারাম নয়।
কারন শরীয়তের বিধান হলো সরকারি চাকুরীতে যেখানে
শরীয়ত বহির্ভুত কোন কাজ না থাকে, কোনো গুনাহ বা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে
না হয়, তাহলে এটা জায়েজ আছে।(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৫০৪)
সুতরাং সেই ভিত্তিতে
যেই দেশের শাসক মানবরচিত আইন দ্বারা শাসন করে সেই শাসকের অধিনে বিচারালয়ে চাকুরী
করা জায়েজ আছে। তবে সর্বদায় খেয়াল রাখতে হবে যে শরীয়ত বহির্ভুত কোনো কাজ যেনো না হয়। কারন সেটি হারাম।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ
یصح العقد علی مدۃ معلومۃ أي مدۃ کانت قصرت
المدۃ کالیوم ونحوہ أو طالت کالسنین۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۴؍۴۵۱ زکریا)
যার সারমর্ম হলো
মেয়াদ নির্ধারন করে বৈধ যেকোনো চাকুরী করা জায়েজ আছে,,,,,।
শরীয়তের খেলাফ কোনো বিচার করা নাজায়েজ।
وَعَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سِمْعَانَ قَالَ :
قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِىْ مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ»
নাও্ওয়াস ইবনু সিম্‘আন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিপালকের অবাধ্যতার মাঝে কোনো সৃষ্টির আনুগত্য
নেই। (মিশকাতুল মাসাবিহ ৩৬৯৬.শারহুস্ সুন্নাহ্ ২৪৫৫, সহীহ আল
জামি‘ ৭৫২০।)
وَعَنْ عَلِىٍّ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ
ﷺ : «لَا طَاعَةَ فِىْ مَعْصِيَةٍ إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِى الْمَعْرُوْفِ».
‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নাফরমানির ক্ষেত্রে আনুগত্য
নেই। আনুগত্য শুধু সৎকর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।(বুখারী ৭২৫৭, মুসলিম ১৮৪০, আবূ দাঊদ ২৬২৫, নাসায়ী
৪২০৫, আহমাদ ৭২৪।)
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/623/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কোন ব্যক্তি ইসলামী আইন দিয়ে বিচার করার দৃড় প্রত্যয়
নিয়ে জজের চাকুরী করতে চায় তাহলে তার জন্য তা জায়েয হবে। তবে আবশ্যকীয় শর্ত হলো, কুরআন বিরোধী
কোন ফায়সালা কখনই করা যাবে না। অন্যথায় তা জায়েয হবে না।