আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
199 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।

 হানাফি মাযহাব অনুযায়ীই, কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে,অভিভাবকদের না জানিয়ে  একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে বিয়ে  করেছিল।

বিয়ের পর তারা  এইপর্যন্ত এক বাসায়  থাকে নাই। সহবাস করে নাই।

একবার সেই স্বামী, তার স্ত্রীকে  বলছেঃ

 " অমুক কাজ  করবা না, করলে তালাক।"

★এই বাক্য একই মজলিসে অথবা ফোনে  স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময় পরপর   তিনবার বলেছে এভাবেঃ

প্রথমবার বলেছে "অমুক কাজ করবা না, করলে তালাক।

দ্বিতীয়বার বলেছে " সাবধান, অমুক কাজ  কইরো না কিন্তু, করলে তালাক।"

তৃতীয়বার বলেছে "অমুক কাজ   করলে তালাক,একেবারে তালাক। (এখানে  স্ত্রীকে   তালাক  দেওয়ারই কোন  নিয়ত ছিল না, এক তালাক ও না।
স্বামী কখনোই চায় নাই, স্ত্রীর সাথে  তালাক হোক।

শুধু  স্ত্রীকে ভয় দেখানো উদ্দেশ্য  ছিলো। )

★ঐ বাক্য, স্বামী একই মজলিসে অথবা ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনবার বলার পরও,স্ত্রী  ঐ কাজ  করেছে,

এই পর্যন্ত স্ত্রী সেই কাজ অনেকবার করেছে।

ক) তাদের  মাঝে কি আর বৈবাহিক  সম্পর্ক  আছে???

খ) তারা  তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে তারা  ঘর- সংসার করতে  চায়,তাদের   করণীয় কি?

গ) স্ত্রী  কি সেই  কাজ  আর কখনোও করতে পারবে???

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদিস শরিফে  এসেছেঃ
ثلث جدهن جد هزلـهن جد النكاح والطلاق والرجعة 

অর্থ : তিনটি বিষয় এমন রয়েছে যা গোস্বায় হোক বা হাসি ঠাট্টায় হোক সর্বাবস্থায় কার্যকরী হয়ে থাকে। বিবাহ্, তালাক ও রজয়াত।” (তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ/২৮৪) 
.
★★শরীয়তের বিধান হলো যদি সহবাসের পূর্বেই স্ত্রীকে এক বাক্যে তিন তালাক দেয়,তাহলে তিন তালাক হয়ে যাবে।
তার সাথে আর কোনো ভাবেই ঘর সংসার করা জায়েজ হবেনা।

আর যদি আলাদা আলাদা ভাবে এক তালাক করে দেয়,তাহলে শুধু ১ম তালাক দ্বারাই বায়েন তালাক হয়ে যাবে,পরবর্তী তালাক গুলো হবেনা। 
    
 إذا طلق الرجل امرأته ثلاثا قبل الدخول بها وقعن عليها فإن فرق الطلاق بانت بالأولى ولم تقع الثانية والثالثة

যদি কেউ তার স্ত্রীকে সহবাসের পূর্বে তিন তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তিন তালাকই তার উপর পতিত হবে।আর যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে এক এক করে তিন তালাক দেয়,তাহলে প্রথম তালাক দ্বারাই স্ত্রী বায়েন হয়ে যাবে।দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তালাক তার উপর পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৩)

আরো জানুনঃ 


وشرط الحنث في قولہ إن خرجت مثلاً فأنت طالق أو إن ضربت عبدک فعبدي حر لمرید الخروج والضرب فعلیہ فورًا؛ لأن قصدہ المنع عن ذٰلک الفعل عرفًا ومدار الأیمان علیہ، وہٰذہ تسمی یمین الفور۔ (درمختار، الأیمان / باب الیمین في الدخول والخروج والسکنیٰ، مطلب في یمین الفور ۵؍۵۵۳-۵۵۴ زکریا، ۳؍۷۶۱-۷۶۲ دار الفکر بیروت، وکذا في البحر الرائق / باب الیمین في الدخول ۴؍۳۱۵ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি বলে তুমি যদি বের হও,,তাহলে তুমি তালাক, অথবা তুমি যদি তোমার গোলামকে প্রহার করো,তাহলে আমার গোলাম আযাদ,তাহলে এটির বিধান তাৎক্ষনিক হবে।
কেননা তার উদ্দেশ্য ছিলো ঐ কাজ থেকে সেই সময়েই বিরয় রাখা,( সারাজীবন এর জন্য নয়)

إذا وجد الشرط انحلت الیمین۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵، کذا في الہدایۃ / باب الأیمان في الطلاق ۲؍۳۵۸، البحر الرائق / باب التعلیق ۴؍۸ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে। 

(ক)
তাদের মাঝে আর বৈবাহিক সম্পর্ক নেই।
এক তালাকে বায়েন পতিত হয়ে গিয়েছে।

(খ)
পুনরায় নতুন করে মোহরানা ধার্য করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
,
(গ)
হ্যাঁ করতে পারবে।
পুনরায় বিবাহের পর আবার এহেন শর্ত যুক্ত তালাক না দিলে স্ত্রী নতুন বিবাহের পরেও সেই কাজ করতে পারবে।

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
শায়েখ,
অপরাধ  নিবেন  না।আমার ভুল  ক্ষমা করবেন। 
আমি শুধু  মনের সন্দেহটা দূর করার  জন্য  একটা কথা জানতে চাচ্ছি। 

আমি একই মজলিসে অথবা একবার ফোন দিয়ে  যে তিনবার কথাটা বললাম, একবার  ও কিন্তু  এক তালাক  বায়েন কথাটা  উচ্চারণ  করি নাই।

কিন্তু 

শরীয়তের নিয়মই এটা যে আমি উচ্চারণ  না করলেও অটোমেটিক এক তালাক  বায়েনই পতিত  হবে?    এবং বিয়ে  সম্পূর্ণ  শেষ।
by (565,890 points)
যেহেতু আপনাদের সহবাস বা  খালওয়াতে সহীহাহ  হয়নি।
তাই উক্ত কাজ করা মাত্র এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...