বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
না, এমন বিয়ে জায়েয হবে না।
https://www.ifatwa.info/8569 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আপনার প্রশ্নের জবাব বুঝার পূর্বে নিম্নোক্ত ফাতাওয়াটি লক্ষ্যণীয়।
শরীয়তে দু'টি নিষিদ্ধ বিবাহের আলোচনা পাওয়া যায়।যথাঃ-(ক)(নিকাহুল মুত'আহ বা মূতা বিবাহ(খ)নিকাহুল মু'আক্কাতি বা সাময়িক বিবাহ
হেদায়া কিতাবে এ দু'টি বিয়েকে হুকুমসহ এভাবে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে,
সাময়িক বিয়ে বাতিল,যেমন কেউ কোনো মহিলাকে দু'জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে দশ দিনের জন্য বিয়ে করল।ইমাম যুফার রাহ বলেন,এভাবে বিয়ে করলে বাতিল হবে না বরং সাধারণ বিয়ের মত লাযিম হয়ে যাবে।কেননা বিয়ে বাতিল শর্তসমূহর মাধ্যমে ফাসিদ হয় না।ইমাম যুফার রাহ ব্যতীত অন্যান্য হানাফি ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন,সে এখানে বিয়েকে উপভোগের অর্থে নিয়ে এসেছে।আর উকুদ তথা চুক্তিতে অর্থকেই ধর্তব্য হিসেবে ধরে নেয়া হয়।সময় কম হোক আর বেশী হোক উপভোগের অর্থ চলে আসলে সেই বিয়ে বাতিল বলে গণ্য হবে।আর এখানে সময়ের উল্লেখের ধরুণ উপভোগের অর্থা পাওয়া গিয়েছে।(হেদায়া-১/১৯০)
(২)
লজ্জাস্থান বলতে প্রস্রাবের রাস্তার ভিতরের অংশ,স্থন নয়।সুতরাং লজ্জাস্থানের ভিতরের অংশকে দেখলে তখনই হুরমত প্রমাণিত হবে।
(৩)
ধর্ষণ থেকে বাচতে প্রয়োজনে ধর্ষককে হত্যা করাও জায়েয।মহিলা মারা গেলে শহীদ হিসেবে বিবেচিত হবে। দুর্ঘটনায় মারা গেলে শহীদের মর্যাদা যাবে।
কু চিন্তা ব্যতিতও একবারের বেশী মহিলার দিকে তাকানো জায়েয হবে না।
(৪)
সবকিছুতে সমান হিসসা দিতে হবে। হ্যা, অন্তরে কারো প্রতি বেশী মহব্বত থেকে গেলে সেটার কারণে স্বামী গোনাহগার হবে না।
স্ত্রীকে শাসন করতে প্রহার করা যাবে।তবে স্পর্শকাতর স্থানে প্রহার করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/6149
(৫)
আপনি উক্ত প্রশ্ন সমূহ দ্বারা আমাদেরকে কোন দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন? মনে হচ্ছে, আংশিক উত্তর জেনে শুনেও আপনি আবার জানতে চাচ্ছেন, তাই আপনাকে শুধু একটিমাত্র প্রশ্নের উত্তর দেবো,যা আপনার জন্য জরুরী।
জনসাধারণের জন্য নিজ মাযহাবের ফাতাওয়া অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।নির্দিষ্ট একটি মাযহাব মানাও ওয়াজিব।
(৬)
উচ্ছারণ তো মৌখিক ভাবে পড়ে শুনানো ব্যতিত সঠিক উচ্ছারণ আপনি কখনো জানতে পারবেন না।তাই আপনাকে বলবো, উক্ত দু'আ পড়া যাবে। উক্ত দু'আ সম্পর্কে বিশুদ্ধ কোনো হাদীস আমাদের জানা নেই।
(৭)না, এখানে উযর বিল জাহালত, গ্রহণযোগ্য নয়।