জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
সুরা বাকারার ২২২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
২:২২২ وَ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡمَحِیۡضِ ؕ قُلۡ هُوَ اَذًی ۙ فَاعۡتَزِلُوا النِّسَآءَ فِی الۡمَحِیۡضِ ۙ وَ لَا تَقۡرَبُوۡهُنَّ حَتّٰی یَطۡهُرۡنَ ۚ فَاِذَا تَطَهَّرۡنَ فَاۡتُوۡهُنَّ مِنۡ حَیۡثُ اَمَرَکُمُ اللّٰهُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ وَ یُحِبُّ الۡمُتَطَهِّرِیۡنَ ﴿۲۲۲﴾
আর তারা তোমাকে হায়েয সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, তা কষ্ট। সুতরাং তোমরা হায়েযকালে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট আস, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালবাসেন এবং ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে।
,
হায়েজের সর্বোচ্চ সীমা ১০ দিনের মাথায় এসে যদি হায়েজ বন্ধ হয়,তাহলে গোসল ব্যাতিতই সহবাস জায়েজ আছে।
তবে সহবাস গোসল করার পরেই উত্তম।
আর যদি ইহার কম সময়ে হায়েজ বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে গোসল করার পর সহবাস জায়েজ আছে।
অথবা এতটুকু সময় অপেক্ষা করবে,যার মধ্যে গোসল করে কাপড় পরিধান করে নামাজ শুরু করতে পারে। বা হায়েজে শেষ হওয়ার পর নামাজের ওয়াক্ত চলে যায়,আর নামাজ তার যিম্মায় লাযেম তথা আবশ্যকীয় হয়ে যায়।
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ১/২১১)
আরো জানুনঃ
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১১ তম দিন থেকে সহবাস করা বৈধ হবে।
এক্ষেত্রে গোসল ব্যাতিতই সহবাস জায়েজ আছে।
তবে সহবাস গোসল করার পরেই উত্তম।
,
(০২)
আপনি যদি মা'যুর না হোন,সেক্ষেত্রে নামাজের আগে
প্যাড/পট্টি চেঞ্জ করে পবিত্র হয়ে নামাজ পড়তে হবে।
আর যদি মা'যুর হোন,তাহলে প্যাড/পট্টি চেঞ্জ করতে হবেনা।
,
মা'যুর কাকে বলে,মা'যুর ব্যাক্তির বিধান সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০৩)
পবিত্র হয়ে পড়া যাবে।
তবে মা'যুর হলে এক ওয়াক্তের অযু দিয়ে সেই ওয়াক্তের ভিতর আপনি যত ইচ্ছা তিলাওয়াত করতে পারবেন।
ওয়াক্ত চলে গেলে পুনরা অযু করে নিতে হবে।