আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
একজন স্বামী তার ইনকাম সোর্স নাই,সে কোন কিছু করে না,তার স্ত্রী চাকরি করে সরকারি,সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্বও স্ত্রী করে,কিন্তু স্বামী তার স্ত্রীকে যথাযথ সম্মান দেয় না,ভালো কথা বললেও বাঁকা বাঁকা কথা বলে,সন্তানদের সাথেও তার খুব একটা ভালো সম্পর্ক না,সন্তানদের কখনো কাছে ঢেকে আদরও করেনি মানে সে গুরুগম্ভীর কিন্তু বদ স্বভাব,পক্ষান্তরে বাহিরে সবাই ভালোই জানে,পরিবারে এতটাও ভালো না,স্ত্রী সবসময় তাকে সম্মান দিয়ে কথা বলে কখনো কষ্ট পাবে এমন কথা বলে না,কিন্তু ভালো ভাবে একটা কথা বললে তার কাছে ভালো না লাগলে রাগ দেখায় যা ইচ্ছে তাই বলে,রাগে ঘর থেকে চলে যায়,,অনেক আগে,১ম সন্তান ছোট থাকা অবস্থায় স্ত্রীর উপর প্রতিশোধ মূলক ২য় বিয়ে করে অনুমতি না নিয়ে,বর্তমানে ২য় স্ত্রী নেই,চলে গেছে অনেক আগে,,আজ ২২/২৩ বছর সংসার করেও তার উন্নতি হয় নাই,একটুতেই ঝগড়া করে,,নামাজের কথা বললে সে রাগ দেখায়,,স্ত্রী এখন আগের মতো এতটা কদর করে না যেহেতু স্ত্রীকে সম্মান করে না উল্টো সারাজীবন কষ্ট দিয়ে গেছে সন্তানরাও বাবাকে এতটা পছন্দ করে না বললেই চলে,কিন্তু রেসপেক্ট করে বাবার সাথে সন্তানের কম কথা বার্তা মেলামেশা হয়,,এ ক্ষেত্রে স্ত্রী যদি রাগে কিছু কথা বলে তাহলে কি গুনাহ হবে ? স্ত্রীর হক সে কোন কিছুই পালন করে নাই,স্ত্রী তার স্বামীর হক তার সাধ্য মতোই চেষ্টা করে আদায় করতে,,কিন্তু ঝগড়/রাগ দেখালে স্ত্রীও এখন কিছু কথা বলে যা লজিক্যাল কথা,কিন্তু স্ত্রী যত ভালো কথাই বলুক,যত ভালো কাজ করুক স্বামী কখনও ভালো বলে না উল্টো খোঁচা দিয়ে কথা বলে,,এভাবে সংসার চলছেই,,প্রশ্ন হলো,,এখন স্ত্রীও যদি রাগে কথা বলে যখন উল্টা পাল্টা কথা বলে,তাহলে কি গুনাহ হবে ? কারণ সে তো সব সময় নারাজই থাকে স্ত্রী এর উপর। স্ত্রী ৫ ওয়াক্ত নামাজি,পর্দা করে,নফল ইবাদত আমল করে। সব রকম হারাম কাজ থেকে দূরে থাকতে সর্বদা সতর্ক থাকে। স্বামীর সাথে রাগের কারণে কি তার ইবাদত কবুল হবে না? বা সে গুনাহগার হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
স্বামী যদি অযথা তার স্ত্রীর প্রতি রাগ করে, তাহলে এমতাবস্থায় ঐ স্ত্রীর ইবাদতে কোনো সমস্যা হবে না।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
(সূরা ফাতির-১৮)

সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতে স্বামীকে বুঝিয়ে এই গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন।ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন।আল্লাহ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/295


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...