একজন স্বামী তার ইনকাম সোর্স নাই,সে কোন কিছু করে না,তার স্ত্রী চাকরি করে সরকারি,সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্বও স্ত্রী করে,কিন্তু স্বামী তার স্ত্রীকে যথাযথ সম্মান দেয় না,ভালো কথা বললেও বাঁকা বাঁকা কথা বলে,সন্তানদের সাথেও তার খুব একটা ভালো সম্পর্ক না,সন্তানদের কখনো কাছে ঢেকে আদরও করেনি মানে সে গুরুগম্ভীর কিন্তু বদ স্বভাব,পক্ষান্তরে বাহিরে সবাই ভালোই জানে,পরিবারে এতটাও ভালো না,স্ত্রী সবসময় তাকে সম্মান দিয়ে কথা বলে কখনো কষ্ট পাবে এমন কথা বলে না,কিন্তু ভালো ভাবে একটা কথা বললে তার কাছে ভালো না লাগলে রাগ দেখায় যা ইচ্ছে তাই বলে,রাগে ঘর থেকে চলে যায়,,অনেক আগে,১ম সন্তান ছোট থাকা অবস্থায় স্ত্রীর উপর প্রতিশোধ মূলক ২য় বিয়ে করে অনুমতি না নিয়ে,বর্তমানে ২য় স্ত্রী নেই,চলে গেছে অনেক আগে,,আজ ২২/২৩ বছর সংসার করেও তার উন্নতি হয় নাই,একটুতেই ঝগড়া করে,,নামাজের কথা বললে সে রাগ দেখায়,,স্ত্রী এখন আগের মতো এতটা কদর করে না যেহেতু স্ত্রীকে সম্মান করে না উল্টো সারাজীবন কষ্ট দিয়ে গেছে সন্তানরাও বাবাকে এতটা পছন্দ করে না বললেই চলে,কিন্তু রেসপেক্ট করে বাবার সাথে সন্তানের কম কথা বার্তা মেলামেশা হয়,,এ ক্ষেত্রে স্ত্রী যদি রাগে কিছু কথা বলে তাহলে কি গুনাহ হবে ? স্ত্রীর হক সে কোন কিছুই পালন করে নাই,স্ত্রী তার স্বামীর হক তার সাধ্য মতোই চেষ্টা করে আদায় করতে,,কিন্তু ঝগড়/রাগ দেখালে স্ত্রীও এখন কিছু কথা বলে যা লজিক্যাল কথা,কিন্তু স্ত্রী যত ভালো কথাই বলুক,যত ভালো কাজ করুক স্বামী কখনও ভালো বলে না উল্টো খোঁচা দিয়ে কথা বলে,,এভাবে সংসার চলছেই,,প্রশ্ন হলো,,এখন স্ত্রীও যদি রাগে কথা বলে যখন উল্টা পাল্টা কথা বলে,তাহলে কি গুনাহ হবে ? কারণ সে তো সব সময় নারাজই থাকে স্ত্রী এর উপর। স্ত্রী ৫ ওয়াক্ত নামাজি,পর্দা করে,নফল ইবাদত আমল করে। সব রকম হারাম কাজ থেকে দূরে থাকতে সর্বদা সতর্ক থাকে। স্বামীর সাথে রাগের কারণে কি তার ইবাদত কবুল হবে না? বা সে গুনাহগার হবে?