ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4747 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
মাছ এবং টিড্ডি ব্যতীত সমস্ত প্রাণীকে জবাই করার সময়ে বিসমিল্লাহ বলতে হবে। জবেহকারী মুসলিম হতে হবে।আহলে কিতাব তথা ইহুদী খৃষ্টানরা যদি তাদের ধর্মমত সঠিক ভাবে জবাই করে তবে তাদের খাবার খাওয়াও জায়েয রয়েছে।
الْيَوْمَ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ وَطَعَامُ الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ حِلٌّ لَّكُمْ وَطَعَامُكُمْ حِلُّ لَّهُمْ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلاَ مُتَّخِذِي أَخْدَانٍ وَمَن يَكْفُرْ بِالإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হল। আহলে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্যে হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল। তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের বিষয় অবিশ্বাস করে, তার শ্রম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।(সূরা মায়েদা-৫)
তাছাড়া অন্যান্য অমুসলিম যদি কোনো প্রাণী জবাই করে তবে সেই প্রাণী ভক্ষণ করা কখনো জায়েয হবে না।সে হিসেবে হিন্দুদের জবাইকৃত প্রাণী খাওয়া কখনো জায়েয হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইহুদি খৃষ্টান যদি তাদের ধর্মমতে জবাই করে, তাহলে তাদের জবাইকৃত প্রাণী খাওয়া যাবে, এছাড়া অন্যান্য অমুসলিম যেমন হিন্দু বদ্ধ ইত্যাদির জবাই করা প্রাণী ভক্ষণ করা কখানে জায়েয হবে না।
যদি জানা যায় যে, ইহুদী খৃষ্টান তাদের ধর্মমত জবাই করে না। তাহলে এ গোশত খাওয়া যাবে না। তখন সেই গোশত খাওয়া হারাম বলে বিবেচিত হবে। উনি শাক সবজি খেয়ে নিজের জীবনকে পরিচালনা করবেন।অথবা মাছ খাবেন।