আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (40 points)
edited by
এক বোনের তরফ হতে-

১. আমার ছোট বেলায় ক্রয় করা কিছু মেয়ে পুতুল ও আমার পরিবারের সদস্যের ক্রয় করা পুতুল গৃহে রাখার বিধান কি?

আমি এগুলো কি বিক্রি করে কোন নেক কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারব বা ইলম শিক্ষায় ব্যবহার করতে পারব যদি অন্য কোন উপায়ে আমি অর্থের যোগান দিতে না পারি?

২. মৃত ব্যক্তি সওয়াব পাবে এই নিয়তে তার রেখে যাওয়া তসবিহ ব্যবহার করার নিয়ত টা কি সঠিক? সে কি সওয়াব পাবে? নাকি সওয়াবের নিয়ত ছাড়া আমি উপকৃত হলে সে সওয়াব পাবে বা পাবেনা?

৩. সকাল সন্ধার হিফাজতের আমল গুলো কি শুধু মুখে পড়তে হবে?যেকোন দুয়ার আদব কি?  ইস্তেগফার করার সময় কি হাত উউত্তোলন করা যাবে নাকি মুখে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়লে হবে?

৪. আমি ঘরের বড় মেয়ে, আমার আম্মার মৃত্যুর পর এখন তার সম্পদ তার ওয়ারিশের কাছে পৌছানো, তার ঋণ পরিশোধ এইগুলোর দায়িত্ব কি আমার উপর অর্পিত হবে নাকি আমার ভাইয়ের?

৫. কেউ যদি কথায় কথায় গালি দেয় আর বলে সে গালির যোগ্য বলে অকথ্য গালাগাল করে তবে তার জন্য কি শাস্তি আছে এবং তাকে কিভাবে নসিহত করা যায়?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
উক্ত পুতুলকে ফেলে দেয়াই উচিৎ ও উত্তম।তবে অার্থিক অসচ্ছলতা থাকলে,বিক্রি করা যাবে এবং তার মূল্যকে কোনো ভাল কাজে ব্যবহার করা যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/320

(২)
মৃত ব্যক্তি সওয়াব পাবে এই নিয়তে তার রেখে যাওয়া তসবিহ ব্যবহার করা যাবে।উনার তাসবিহ ব্যবহারের সময়ে উনার নিয়ত না করলেও উনি সওয়াব পাবেন।

(৩)
জ্বী, সকাল সন্ধ্যার তাসবিহগুলো মুখে পড়লেই হবে।
ইস্তেগফারের মুহুর্তে হাত উত্তোলনের কোনো প্রয়োজন নাই।বরং মুখে পড়ে নিলেই যথেষ্ট হবে।

দু'আ অনেক আদব আছে।আপনি কোন দিক নিয়ে জানতে চান।

(৪)
আপনার ভাইয়ের দায়িত্ব।হ্যা, তাকে সহযোগিতা করার দায়িত্ব আপনার।

(৫)
https://www.ifatwa.info/27748 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
অহেতুক কাউকে বদ দুআ করা জায়েয হবে না।
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
 لا خلاف بين الفقهاء في أن الدعاء على المسلم المصون باللعن حرام. أما المسلم الفاسق المعين فقد اختلفت فيه أقوال الفقهاء: فالمذهب عند الحنفية والشافعية وهو المذهب عند الحنابلة وهو قول ابن العربي من المالكية، أنه لا يجوز لعنه
নিরপরাধ কোনো মুসলমানকে অহেতুক বদদুআ করা হারাম।এবং গুনাহগার নির্দিষ্ট কোনো মুসলমানকে লা'নত করাও চার মাযহাব মতে হারাম।{৩৫/৩৭৩}
{ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৪/২৫২}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...