বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1204 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
জীবন বীমা নাজায়েয ও হারাম। কেননা কম্পানির পক্ষ্য থেকে মাসিক কিস্তিতে যে টাকা উসূল করা হয়, সেটা মূলত কম্পানির নিকট ঋণ হিসেবে থাকে। এবং পরবর্তীতে এ জমাকৃত টাকা তথা ঋণের বিপরিতে যে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়,সেটা সুদ। আর সুদ হারাম।দ্বিতীয়ত বীমার বিষয়টা শর্ত তথা গ্রাহকের কোনো অঘটনের সাথে চুক্তিবদ্ধ। আর শর্তের সাথে কোনো ঋণের আদাণ-প্রদাণ জায়েয না বরং হারাম।তৃতীয়ত,বীমার টাকা দেড়ীতে গ্রাহকের হস্তগত হওয়ার শর্ত থাকে।আর ঋণের মধ্যে শর্তের মাধ্যমে দেড়ীতে লেনদেনের সমাপ্তি বিশুদ্ধ নয়।তাছাড়া বীমা কম্পানি গ্রাহকের নিকট থেকে কিস্তিতে টাকা তুলে সেই টাকা দিয়ে সুদি লেনদেনে জড়িয়ে থাকে।সুতরাং এসমস্ত কারণ বিবেচনায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, জীবন বীমা করা এবং বীমা কম্পানিতে চাকুরী করা জায়েয হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৪)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বীমা সুদ এবং জোয়ার উপর নির্ভরশীল হওয়ার দরুণ বর্তমানে প্রচলিত সকল প্রকার বীমাই হারাম।তবে সরকারের পক্ষ্য থেকে যেই সমস্ত বীমার করার জন্য পাবন্দী রয়েছে,যেমন মটর বীমা ইত্যাদি।সেই সমস্ত বীমা ঐ শর্তে করা যাবে যে,বীমা কম্পানি থেকে পরবর্তীতে শুধুমাত্র জমাকৃত টাকাই নিতে হবে।অতিরিক্ত কোনো টাকা বা সুবিধা গ্রহণ করা যাবে না।নিলেও তা সদকাহ করতে হবে।(ফাতাওয়ায়ে উসমানি-৩/৩১৪)
যতপ্রকার বীমা রয়েছে, তা যদি সরকারি বাধ্যতামূলক না হয়,তাহলে সকল প্রকার বীমাই নাজায়েয ও হারাম, এবং সেগুলোতে চাকুরী করাও হারাম।