আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
343 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (22 points)
আমি একজন মানুষকে তার দ্বীনে মুগ্ধ হয়ে বিয়ের কথা ভেবেছিলাম।দুইজন ই চাওয়ার পরও পারিবারিক কারণে বিয়ের কথা আর আগায়নি।কিন্তু সেই মানুষটি আমাকে দ্বীনের ব্যাপারে অনেক সাহায্য করেছে এবং আমরা কোন হারাম সম্পর্কেও ছিলাম না।এখন আমি নামাজে দোয়া করি আমরা দুইজনই যাতে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারি,দুইজনের ই যাতে ইমান আরো মজবুত হয় এবং নেককার এবং ভালো জীবনসঙ্গী পাই যে আমাদের দুনিয়া তে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সাহায্য করবে এবং জান্নাতে যেতে সাহায্য করবে।দুইজনের জন্য একই দোয়া করি এবং এও দোয়া করি যে এই মানুষ টি আমার জন্য কল্যানকর হলে যাতে আমাদের বিয়ে টা সঠিক সময়ে আল্লাহ সহজ করে দেন নতুবা যেখানে যেই বান্দার সাথে আমাদের কল্যান তাই আমাদের জন্য নিধার্রন করে দেন।

এখন আমার প্রথম প্রশ্ন আমার দোয়া করার ধরনে কি কোন ভুল আছে?এবং দ্বিতীয় প্রশ্ন আমি যদি দোয়া করি যে আল্লাহ এই মানুষটি যদি আমার জন্য কল্যানকর না অকল্যানকর তা আমাকে আজকে রাতের মধ্যে কোন একটি ইশারায় বুঝিয়ে দিন।এই ইশারা চাওয়া কি জায়েজ?

যদি এই ইশারা চাওয়া জায়েজ হয় তবে আমি ইশারা কীভাবে চাইতে পারি বা কেমন ইশারা চাইতে পারি যদি উদাহরণ দিয়ে বলতেন!বা ইশারা গুলো কীভাবে বুঝবো?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জীবনের সকল টার্ণিং পয়েন্ট তথা এমন কোনো কাজ যাদ্ধারা তার জীবনের মোড় পাল্টে যায়, এমন কাজের ক্ষেত্রে মানুষের উচিৎ ইস্তেখারা করা। ইস্তেখারা করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ  করা।
সে হিসেবে দেখাদেখি হওয়ার পূর্বে যখন সাধারণ কথাবার্তা চলবে, তখনই ইস্তেখারা করে নেওয়াই উচিৎ।
যেমন হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ:
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1472

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, কল্যাণকর কি না? তা জানার জন্য, সে সম্পর্কে ইশারা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে চাইতে পারবেন,ইস্তেখারা করতে পারবেন।এতে কোনো বিধিনিষেধ নাই।তবে জলদি করা যাবে না।একথা বলা যাবে না যে, আজকের মধ্যেই আমাকে ইশারা দাও।বান্দার কাজ আল্লাহর নিকট কল্যাণকে চাওয়া।আল্লাহর জন্য কোনো সময় নির্ধারণ করে দেওয়া বান্দার জন্য কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...