ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জীবনের সকল টার্ণিং পয়েন্ট তথা এমন কোনো কাজ যাদ্ধারা তার জীবনের মোড় পাল্টে যায়, এমন কাজের ক্ষেত্রে মানুষের উচিৎ ইস্তেখারা করা। ইস্তেখারা করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
সে হিসেবে দেখাদেখি হওয়ার পূর্বে যখন সাধারণ কথাবার্তা চলবে, তখনই ইস্তেখারা করে নেওয়াই উচিৎ।
যেমন হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ:
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1472
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, কল্যাণকর কি না? তা জানার জন্য, সে সম্পর্কে ইশারা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে চাইতে পারবেন,ইস্তেখারা করতে পারবেন।এতে কোনো বিধিনিষেধ নাই।তবে জলদি করা যাবে না।একথা বলা যাবে না যে, আজকের মধ্যেই আমাকে ইশারা দাও।বান্দার কাজ আল্লাহর নিকট কল্যাণকে চাওয়া।আল্লাহর জন্য কোনো সময় নির্ধারণ করে দেওয়া বান্দার জন্য কখনো জায়েয হবে না।