জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রানীকে নিউটার করা তথা খাসি বানানো (বন্ধাত্বকরণ করানো) গোশত আর চর্বির দিক লক্ষ্য করে পছন্দনীয়।
এটার তার (প্রানীর) জন্য দোষ নয়,বরং এটি তার মূল্যের আধিক্যতার মাধ্যম।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৪/৬৩৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ اشْتَرَى كَبْشَيْنِ عَظِيمَيْنِ سَمِينَيْنِ أَقْرَنَيْنِ أَمْلَحَيْنِ مَوْجُوءَيْنِ فَذَبَحَ أَحَدَهُمَا عَنْ أُمَّتِهِ لِمَنْ شَهِدَ لِلَّهِ بِالتَّوْحِيدِ وَشَهِدَ لَهُ بِالْبَلاَغِ وَذَبَحَ الآخَرَ عَنْ مُحَمَّدٍ وَعَنْ آلِ مُحَمَّدٍ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
আয়েশা (রাঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর ইচ্ছা করলে দু’টি মোটাতাজা, মাংসল, শিংযুক্ত, ধুসর বর্ণের ও ছিন্নমুষ্ক মেষ ক্রয় করতেন। অতঃপর এর একটি নিজ উম্মাতের যারা আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য দেয় এবং তাঁর নবুয়াতের সাক্ষ্য দেয় তাদের পক্ষ থেকে এবং অপরটি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে কোরবানী করতেন।
ইবনে মাজাহ ৩১২২.আহমাদ ২৫৩১৫, ২৫৩৫৮, ইরওয়া ১১৩৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যেহেতু বিড়ালের গোশত খাওয়া জায়েজ নেই,তাই তাকে খাসি বানানো (বন্ধাত্বকরণ করানো) এর ক্ষেত্রে
গোস্ত সুস্বাদুর বিষয়টি নেই,তাই এতে তাকে খাসি বানানোর প্রয়োজনীয়তা নেই।
প্রয়োজনীয়তা না থাকার কারনে অনুমোদনও নেই।
★তবে প্রশ্নে উল্লেখিত একটি কারন "" বাসার বিভিন্ন জায়গায় সে পেশাব করে"" এই কারনে তো বাসা বারবার নাপাক হয়ে যায়,তাই এই ওযরে বিড়ালকে নিউটার করানো তথা খাসি বানানো (বন্ধাত্বকরণ করানো) জায়েজ আছে।
আরো জানুনঃ