আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম
যখন আমার বয়স 12 বছরের একটু বেশি। তখন আমার সন্ধিকাল শুরু হয়েছিল। তো আমি আমার সাত বছরের কাজিনের লজ্জাস্থান স্পর্শ করি(কয়েক সেকেন্ড) দুই থেকে তিনবার। প্রথমে দুই-তিনবার আমি শুধু দেখেছিলাম(মাত্র ১ মিনিট মতো) কিন্তু স্পর্শ করিনি। এরপর আমার মনে হচ্ছিলো আমি ভূল করছি।তখন ছোটবেলায় আমি আল্লাহর কাছে তওবা করি। এরপর আর এই কাজ কোনদিন করিনি। তখন আমার এত জ্ঞান ছিল না। আমি জানতাম না এটা অনেক বেশি পাপ। আর আমি খুব ছোটবেলা থেকে নামাজ দোয়া পড়ি। কিন্তু শরীরের পরিবর্তন হলে কেমন করে নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে এসব বিষয়ে বাসায় কোনদিন বলেনি। একাকী মেয়েদের সাথে থাকা যাবে না এটাও বলেনি ।না হলে এত কিছু হত না। যেহেতু আমাদের বাসা পাশাপাশি ছিল আমরা যেহেতু একসাতে সময় কাটাতাম। তাই সব কিছু হঠাৎ করে হয়ে গেছিল। এরপর আল্লাহর কসম আমি আর কোনদিন করিনি।
এখন আমার বয়স 19। এখনো আমার গিলটি ফিল হয়।
ঘটনাটা যে বছর(২০১৫সালে) এর পরের বছর আমরা অন্য শহরে চলে যায়। কিন্তু যখনই আমি ওদের বাসায় বেড়াতে যায়। দেখি আমার সাথে ওর আচরণ সবকিছু অন্যান্য কাজিন দের মত নর্মাল। মনে হয় ওর সাথে যা হয়েছে সে বুঝতে পারেনি। না হয় সে ভুলে গিয়েছি। ওদের বাসায় গেলে আমার পাশে বসে কথা বলে। নর্মাল কাজিনদের মত।
ওই কয়েকবার ঘটনার পর আমি ওর সাথে আর কোনদিন ওরকম করিনি।
এখন আমার প্রশ্ন আমাকে ওর কাছেও মাফ চাওয়া লাগবে? নাকি শুধু আল্লাহর কাছে তওবা করেছি এটাই যথেষ্ট?
এখন ওর কাছে যদি আমি মাফ চাই তাহলে আমাদের নরমাল কাজিনের সম্পর্কটা নষ্ট হবে যদি আমি বলি আমি কি করেছি আর ক্ষমা চায়। আর হয়তো জানার পর ও ডিপ্রেশনে ভুগতে পারে।
এখন আমার প্রশ্ন আমার কি ওর কাছে ক্ষমা চাওয়া লাগবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5806 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তাৎক্ষণিক তাওবাহ করা ওয়াজিব।তাওবাহ করার মনস্থ করার পর তাওবাহকে বিলম্ব করা জায়েয হবে না।সুতরাং যে ব্যক্তি তাওবাহকে দেড়ীতে করার মনস্থ করবে,সে দু'টি গোনাহে লিপ্ত হবে।একটি হল,দীর্ঘ সময় যাবৎ একটি গোনাহের কাজে লিপ্ত থাকা।দ্বিতীয়টি হল,দেড়ীতে তাওবাহ করার মনস্থ করা।
ইয ইবনে আব্দুস-সালাম বলেন,
" والتوبة واجبة على الفور ، فمن أخرها زماناً صار عاصياً بتأخيرها ، وكذلك يتكرر عصيانه بتكرر الأزمنة المتسعة لها ، فيحتاج إلى توبة من تأخيرها "
গোনাহে লিপ্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক তাওবাহ করা ওয়াজিব।কেউ তাওবাহ করতে দেড়ী করলে সে গোনাহগার হবে।এবং যত দীর্ঘ সময় হবে,তার গোনাহও তত দীর্ঘ হবে।দেড়ী তাওবাহ করলে সাথে আরেকটি তাওবাহ করতে হবে,দেড়ীতে তাওবাহ করার জন্য।(কাওয়াঈদুল আহকাম-১/২২১) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5806

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি তাৎক্ষণিক তাওবাহ করে নেবেন।আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে কান্না করার চেষ্টা করুন। আল্লাহ অবশ্যই তাওবাহকে কবুল করে নেবেন। কাজিনের নিকট ক্ষমা চাইতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...