জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আমাদের দেশের সাবান শ্যাম্পুতে হারাম উপাদান মিশ্রণ নেই বলেই জানি।
কিছু প্রসাধনী সামগ্রীতে এলকোহলের মিশ্রণ থাকলেও সেটি আঙ্গুর/খেজুরের তৈরী এলকোহল না হওয়ায় তাহা ব্যবহার করতে সমস্যা নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ
★সুতরাং আমাদের দেশের সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা নেই।
তবে যদি কোনো সাবান/শ্যাম্পু/অন্যান্য প্রসাধনী সামগ্রীতে হারাম মিশ্রনের কেহ সুত্র পায়,তাহলে সেই বস্তু ব্যবহার করা যাবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم الْحَلَالُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لَا يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ فَمَنِ اتَّقَى الشُّبْهَاتِ استبرَأَ لدِينهِ وعِرْضِهِ ومَنْ وقَعَ فِي الشبُّهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يَرْتَعَ فِيهِ أَلَا وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى أَلَا وَإِنَّ حِمَى اللهِ مَحَارِمُهُ أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُله أَلا وَهِيَ الْقَلْبُ.
নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘হালাল এবং হারাম সুস্পষ্ট, আর ঊভয়ের মধ্যে অনেক সন্দেহজনক বিষয় বা বস্তু আছে।(যেগুলি হালালের অন্তর্ভুক্ত না হারামের অন্তর্ভুক্ত,) সে সম্পর্কে অনেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এরূপ ক্ষেত্রে যেই ব্যক্তি সন্দেহের বস্তুকে পরিহার করে চলবে, তার দ্বীন এবং আবরু-ইজ্জত, মান-সম্মান পাক-পবিত্র থাকবে। পক্ষান্তরে যেই ব্যক্তি সন্দেহের কাজে লিপ্ত হবে, সে অচিরেই হারামেও লিপ্ত হয়ে পড়বে। (ফলে তার দ্বীন এবং মান-সম্মান কলুষিত হবে।) যেমন যেই রাখাল তার পশুপালকে নিষিদ্ধ এলাকার সীমার ধারে চরাবে, খুব সম্ভব তার পশু নিষিদ্ধ এলাকার ভিতরেও মুখ ঢুকিয়ে দিবে। তোমরা ম্মরণ রেখো প্রত্যেক বাদশাই নিজ পশুপালের চারণভুমি (নিষিদ্ধ এলাকা) বানিয়ে রাখেন। তদ্রূপ (সকল বাদশাহর বাদশাহ) আল্লাহ তা’আলার চারণভূমি তাঁর হারাম বস্তুসমূহকে নির্ধারিত করে রেখেছেন। ‘মনে রেখো মানুষের দেহের ভিতরে একটি গোশতের টুকরা রয়েছে, যা সঠিক থাকলে সমস্ত দেহই সঠিক থাকে। আর সেই অংশের বিকৃতি ঘটলে সম্পূর্ণ দেহেরই বিকৃতি ঘটে। সেই গোশতের টুকরাটি হল অন্তর’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬২)।
,
(০২)
উভয় ধরনের খাবার খাওয়া যাবে
এখানে মূল বিষয় হলোঃ প্যাকেটের গায়ে যে উপাদান লেখা থাকে,সেগুলোতে যদি হারাম কোনো উপাদান না লেখা থাকে,হারাম বস্তু মিশ্রণের যদি কোনো প্রমান না থাকে,তাহলে তাহা খেতে শরীয়াহ দৃষ্টিকোন থেকে সমস্যা নেই।
,
(০৩)
এক্ষেত্রে মুসলমানদের হোটেলে খাবার খেতে হবে।
সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
,
অমুসলিমদের হোটেলে খেলে গোশত খাওয়া যাবেনা।
হ্যাঁ যদি তারা দাবী করে যে মুসলিমদের দ্বারা এগুলো জবাই করা হয়েছে,তারা বিসমিল্লাহ বলেই জবাই করেছে,তাহলে খাওয়া যাবে।
,
আরো জানুনঃ