জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
সুরা নিসার ২৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّهٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ وَ عَمّٰتُکُمۡ وَ خٰلٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُ الۡاَخِ وَ بَنٰتُ الۡاُخۡتِ وَ اُمَّهٰتُکُمُ الّٰتِیۡۤ اَرۡضَعۡنَکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ مِّنَ الرَّضَاعَۃِ وَ اُمَّهٰتُ نِسَآئِکُمۡ وَ رَبَآئِبُکُمُ الّٰتِیۡ فِیۡ حُجُوۡرِکُمۡ مِّنۡ نِّسَآئِکُمُ الّٰتِیۡ دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ ۫ فَاِنۡ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ ۫ وَ حَلَآئِلُ اَبۡنَآئِکُمُ الَّذِیۡنَ مِنۡ اَصۡلَابِکُمۡ ۙ وَ اَنۡ تَجۡمَعُوۡا بَیۡنَ الۡاُخۡتَیۡنِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿ۙ۲۳﴾
তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজীদেরকে, ভাগ্নীদেরকে, তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে, তোমাদের শ্বাশুড়ীদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র করা(তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার মামার স্ত্রী তথা আপনার মামি আপনার জন্য গায়রে মাহরাম।
তিনি আপনার মাহরাম নন।
আপনার সামনে তার পর্দা করতে হবে।
সুতরাং তার বোন তথা আপনার মামির বোনও আপনার জন্য গায়রে মাহরাম।
আপনার সামনে তার পর্দা করতে হবে।
তাকে বিবাহ করা জায়েজ আছে,কোনো সমস্যা নেই।
এমনকি আপনার মামি আর মামার মাঝে যদি কোনোদিন বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়,তাহলে ঐ মামিকে বিবাহ করাও আপনার জন্য জায়েজ হবে।
কেননা সে আপনার গায়রে মাহরাম।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহে শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে কোনো সমস্যা নেই।
তবে পারিবারিক মনমালিন্য সৃষ্টি হওয়ায় আপনি চাইলে এই বিবাহে সামনে নাও এগোতে পারেন।
যেটা কেবলই আপনার/আপনার পরিবারের ইচ্ছা।