আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
437 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওস্তাদ।
আমার পরিবারের কিছু মানুষ পীর,ফকির এবং সূফীবাদ অনুকরন করতে চায়/করে। যেহেতু এ বিষয়ে আমার জানা একদম শূন্য তাই সেক্ষেত্রে উনাদের অনেক কথাতেই আমার মতপার্থক্য হয়। সেজন্য অনুগ্রহ করে কিছু সংশয় দূর করবেন আশা করি।

১. সূফীবাদ কতটা শরীয়ত সম্মত?  এই ব্যাপারে আকিদা কেমন হওয়া উচিত?

২.আগের যুগে যুগে অনেক আধ্যাত্মিক বুযুরগ দুনিয়াতে এসেছেন এখন সাধারণ মানুষ হিসেবে উনাদের ইবাদতের ধরন কতটা ফলো করা যাবে? কারন শুনেছি অনেক ফকিরগন কেবল ধ্যান এ থাকতেন অন্য ইবাদত বাদ দিয়ে।

৩. রাসূল (সাঃ) এর ইন্তেকাল এর অনেক পড়ে হাদীস সংকলন হয়। যেখানে মূল ৪ জন খলিফা এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন নি তাহলে এর পরে কেন দরকার পড়ল এবং একই হাদীস যেহেতু কোন আলেম ঠিক এবং কোন আলেম ভূল বলে ফতোয়া দেন তাহলে হাদীস সঠিক এইটার ১০০% গ্যারান্টি কে দিল?

৪. ফরজ এবং নফল বাদে,  সুন্নত এবং ওয়াজিব এই বিভাজন কি রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর করা?

৫. ইবাদত হচ্ছে শুধুমাত্র আল্লাহ, ওহী, নবীগনে বিশ্বাস (হাদীসে নয়) এবং সৎ কর্ম করাকে বুঝায়।  এই বিশ্বাস কতটুকু ঠিক?

৬. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বিদায় হজ্ব এ " কুরআন এবং সুন্নাহ " নয় বরং "কুরআন এবং আহলে বাইয়াত" ধরে রাখতে বলেছেন। ( আমি জানতে চেয়েছিলাম তাহলে এ যুগে আহলে বাইয়াত এর কাকে ফলো করা উচিত, সন্তোষজনক উত্তর পাইনি) এই ব্যাপারে সঠিক তথ্য কি?

৭. যদি তাদের ধারণা ভূল হয়ে থাকে তাহলে আমার করনীয় কি? তারা তাদের ধারনার বাইরে কথা বলতে নারাজ এবং বলে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়, তোমারটা তুমি করো আমাদের টা আমরা।

অনেক বড় প্রশ্ন করে তকলিফ দেয়ার জন্য দুক্ষিত। আল্লাহ কাছে ভূলের জন্য পানাহ চাই।
closed

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/11832 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।(সূরা আলে ইমরান-৩১)

আল্লাহ বলছেন,যে উনাকে পেতে হলে,উনাকে কেউ মহব্বত করলে,রাসূল সাঃ এর অনুসরণ করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ। তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1037

সুতরাং তাসাউফ তথা কোনো হক্কানী,রব্বানী আলেমের সংস্পর্শ দ্বারাই আল্লাহর সঠিক ও যথার্থ পরিচয় লাভ করা সম্ভব হবে।এবং পুরোপুরি রাসূলের অনুসরণ করা এবং রাসূল সাঃ এর পবিত্র সুন্নতের অনুসরণ করাও সম্ভবপর হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি অনেকগুলি প্রশ্ন করেছেন। আপনাকে সবগুলি প্রশ্নের জবাব লিখে বুঝানো প্রায় মুশকিল কাজ মনে হচ্ছে।তাই আপনাকে সরাসরি কথা বলার সুযোগ দিবো।তারপর আপনার প্রশ্নের জবাব লিখবো।আপনি যদি নারী হন, তাহলে মাহরাম পরুষ পাশে রেখে বা অারো অনেক মহিলা পাশে রেখে কথা বলবেন।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (16 points)
ধন্যবাদ ওস্তাদ।
কথা বলার সুযোগের অপেক্ষায় থাকব, কথা হবে ইনশাআল্লাহ। আমি একজন পুরুষ হয়ে কিভাবে সরাসরি কথা বলতে পারি জানালে উপকার হয়। এবং আমার যোগাযোগ এর মাধ্যম নিন্মরূপ-

Mobile/WhatsApp : 01685057333
Skype : tanvir.durlove1
Facebook : durlovetanvir.
by (597,330 points)
01717917686 এই নাম্বারে কথা বলবেন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...