আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমাদের  কলেজে এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু এমসিকিউ এর পর স্যার একটা রিটেনের প্রশ্ন দিয়ে লিখে জমা দিতে বলছেন কিন্তু আমাদেরকে আগে থেকে জানান নি, তাই আমরা তেমন কোন প্রস্তুতিও নিই নি।এখন ক্লাসের অধিকাংশ স্টুডেন্টই বই দেখে লিখে জমা  দিয়েছে কিন্তু স্যারের এই জুলুমের সাথে তাল মেলাবো না বলে আমি লিখিনি।এখন  ভয় হচ্ছে পরীক্ষা না দেওয়ার কারণে যদি স্যার রেগে যান এবং ভাইভায় ঝামেলা করেন। প্রশ্নও তো আমি দেখে ফেলছি।এই মূহুর্তে আমার করণীয় কি? এখন প্রশ্ন গুলোর উত্তর না দেখে যতটুকু পারি লিখে জমা দিলে কি আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

ধোঁকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,

হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) 

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১৪৬)

 

হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي

 

ভাবার্থঃ যে কাউকে ধোঁকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১৪৭)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে প্রশ্নগুলোর উত্তর না দেখে যতটুকু পারেন ততটুকু লিখে জমা দিতে পারেন। এই ক্ষেত্রে কোনো গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে যদি প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর তার উত্তরগুলো দেখে থাকেন এবং কলেজের স্যারদের পক্ষ থেকে তা নিষেধ করা হয়ে থাকে তাহলে সেটা দেখার কারণে আপনার গুনাহ হয়েছে। তাই আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন। আর যদি প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর তার উত্তরগুলো দেখা কলেজের স্যারদের পক্ষ থেকে নিষেধ না থাকে বরং নিষেধ থাকে দেখে  দেখে উত্তরপত্র লেখা। তাহলে উল্লেখিত অবস্থায়ও আপনার কোনো গুনাহ হয়নি। সুতরাং এখন আপনি প্রশ্নগুলোর উত্তর না দেখে যতটুকু পারেন ততটুকু লিখে জমা দিতে পারেন। এই ক্ষেত্রে কোনো গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে দেখে দেখে লিখলে গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...