بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
বেগানা পুরুষের সাথে বেগানা নারীর প্রেম ভালোবাসা হারাম। ইসলামে
প্রেম জায়েজ তবে সেটা আপনার বিবাহিত স্ত্রীর সাথে।সুতরাং বিবাহের পূর্বে প্রেম করা
বা শারিরীক সম্পর্ক করা হারাম ।
শরিয়তের আলোকে বিবাহের পুর্বে বেগানা নারী পুরুষের মাঝে গড়ে
প্রেম ভালবাসা সম্পূর্ণ অবৈধ ও হারাম। এর মাধ্যমে বেগানা নারী পুরুষের পারস্পরিক দেখা
সাক্ষাত ফোনে প্রেম আলাপ সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়েজ। যদি দেখা সাক্ষাত কথাবার্তা নাও
করে তবু মনে মনে কল্পনা করে তৃপ্তি অনূভব করার দ্বারা অন্তরের যিনা হয় যাহা হারাম ও
কবিরা গুনাহ। সুতরাং ইহা থেকে খালেস ভাবে তাওবা করতে হবে। (প্রমাণ : মুসলিম ২ /৩৩৬, বাওয়াদিরুন নাওয়াদির
৭০০
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّبِعُوا
خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ وَمَن يَتَّبِعْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهُ
يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاءِ وَالْمُنكَرِ ۚ وَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ
مَا زَكَىٰ مِنكُم مِّنْ أَحَدٍ أَبَدًا وَلَٰكِنَّ اللَّهَ يُزَكِّي مَن يَشَاءُ
ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ [٢٤:٢١]
হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ
শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ
কাজেরই আদেশ করবে। যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের প্রতি না থাকত, তবে তোমাদের কেউ কখনও পবিত্র হতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র
করেন। আল্লাহ সবকিছু শোনেন, জানেন। [সূরা নূর-২১]
غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِي أَخْدَانٍ ۗ
وَمَن يَكْفُرْ بِالْإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ
الْخَاسِرِينَ [٥:٥]
কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার
জন্যে নয়। [সূরা মায়েদা-৫]
عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا،
عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا تَرَكْتُ بَعْدِي
فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ»
উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেন, পুরুষের জন্য স্ত্রীজাতি অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর কোন ফিতনা আমি রেখে
গেলাম না। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫০৯৬]
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ الدُّنْيَا حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ،
وَإِنَّ اللهَ مُسْتَخْلِفُكُمْ فِيهَا، فَيَنْظُرُ كَيْفَ تَعْمَلُونَ،
فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ، فَإِنَّ أَوَّلَ فِتْنَةِ بَنِي
إِسْرَائِيلَ كَانَتْ فِي النِّسَاءِ»
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি বলেনঃ নিশ্চয় দুনিয়া লোভনীয় ও সবুজ-শ্যামল। আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতে তোমাদেরকে
খলীফা (শাসক) বানিয়েছেন। তিনি দেখবেন যে, তোমরা কেমন কাজ করো। সাবধান! দুনিয়া সম্পর্কে
সর্তক হও এবং নারীদের সম্পর্কেও সর্তক হও। নিশ্চয় বনী ইসরাইলের মাঝে প্রথম ফিতনা নারীদের
মাধ্যমেই হয়েছে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৭৪২]
، أَلَا لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ
إِلَّا كَانَ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সাবধান! কোন পুরুষ
কোন মহিলার সাথে নির্জনে মিলিত হলে সেখানে অবশ্যই তৃতীয়জন হিসাবে শয়তান অবস্থান করে
(এবং পাপাচারে প্ররোচনা দেয়)। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২১৬৫]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে
তাদের বিবাহ সহিহ হবে তবে বিয়ের পূর্বের প্রেম ভালোবাসা ও শারিরীক সম্পর্ক সম্পূর্ণ
হারাম ছিল। তাদের উভয়কে উক্ত গুনাহের জন্য খুব অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ তায়ালার নিকট বেশী
বেশী ক্ষমা চাইতে হবে।