আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
396 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
reshown by
১৷ টয়লেট করার সময় সন্দেহ হল, নাপাক প্রসাব হাতে লেগেছে কিনা৷ তাকিয়ে দেখি এক ফোটারও কম পানি হাতের কনুইয়ের কাছে দেখা যাচ্ছে৷ সন্দেহ দূর করতে টিস্যু পেপার দিয়ে সেটা মুছে নিলাম৷ এরপর নিশ্চিতভাবে খেয়াল করি, বদনায় ট্যাপের পানি পড়ে হালকা ছিটে হাতে লাগছে৷ এজন্য আমি সন্দিহান, আসলেই প্রথমে ওটা নাপাক প্রসাব ছিলো কিনা! থাকলেও সেটা এক ফোটার কম ছিল, আর আমি টিস্যু দিয়ে মুছে নিয়েছিলাম৷ আমার তীব্র ওয়াসওয়াসা সমস্যা থাকায় পানি ব্যবহার করিনি, হাতের ওখানে ধুতে অনেক পানি খরচ হত৷ এটা কি ঠিক হয়েছে?

২৷ আমি আগে প্রশ্ন করেছিলাম, বেসিনে যেহেতু ময়লা/নাপাক হাত ধোয়া হয়৷ তাই সেখান থেকে ছিটে আসা পানি নাপাক কিনা! আপনারা বলেছিলেন, গন্ধ না পাওয়া গেলে তাতে সমস্যা নেই৷ যেহেতু আমার ওয়াসওয়াসাজনিত সমস্যা আছে, বেসিন থেকে ছিটে আসা পানি হাতে বা গায়ে লাগলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলি বা শুকিয়ে ফেলি৷ কারণ ধুতে গেলে অনেক পানি নষ্ট করে ফেলি৷ এজন্য তখন পানি নষ্ট না করে ওই অবস্থায় অন্য কাজ নরমালি করে পরদিন গোসলে সেখানে ধুয়ে ফেলি৷ এটা কি ঠিক আছে, নাকি পানি ছিটে লাগলে এড়িয়ে যাবো? আসলে এটার জন্য চিন্তায় আমার অনেক সময় ব্যয় হয়৷
৩৷ আমাদের গোসলখানা আর টয়লেট একসাথে৷ বাথরুম ফ্লোর প্রায় ভেজা থাকে৷ টয়লেট করে হাত ধোয়া বা বিভিন্ন কারণে পায়ে উপরের দিকে এক দুই পানি ফোটা ছিটে আসে৷ এরপর যেহেতু ফ্লোর ভেজা তাই এক পা ধুতে গেলে অন্য পায়ে পানি ছিটে লাগে৷ এভাবে ধুতে অনেক পানি খরচ হয়৷ পানির এমন অপচয় রোধে আমি বাথরুমে যাওয়ার সংখ্যা কমিয়ে দিছি৷ এভাবে এক দুই ফোটা পানি ছিটে আসলে কি করণীয় জানাবেন, স্বাভাবিকভাবে এই পানিতে গন্ধ পাওয়া যায় না৷ তবে এখানে ফরয গোসল করি, ফ্লোর ভেজা থাকা আর স্যান্ডেলের তলায় তাই নাপাক থাকবার দুঃশ্চিন্তা হয়৷ এজন্য ময়লা হাত ধোবার পানি বা ফ্লোর থেকে ছিটে আসলে ধোয়া শুরু করি৷  সমাধান দেবেন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।(আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
জ্বী, সতর্কতাপূর্ণ আপনার এই পদক্ষেপ সমর্তন যোগ্য।

(২)
এড়িয়ে যাবেন।

(৩)
এড়িয়ে যাবেন।এগুলোকে কোনো পাত্তাই দিবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...