১৷ টয়লেট করার সময় সন্দেহ হল, নাপাক প্রসাব হাতে লেগেছে কিনা৷ তাকিয়ে দেখি এক ফোটারও কম পানি হাতের কনুইয়ের কাছে দেখা যাচ্ছে৷ সন্দেহ দূর করতে টিস্যু পেপার দিয়ে সেটা মুছে নিলাম৷ এরপর নিশ্চিতভাবে খেয়াল করি, বদনায় ট্যাপের পানি পড়ে হালকা ছিটে হাতে লাগছে৷ এজন্য আমি সন্দিহান, আসলেই প্রথমে ওটা নাপাক প্রসাব ছিলো কিনা! থাকলেও সেটা এক ফোটার কম ছিল, আর আমি টিস্যু দিয়ে মুছে নিয়েছিলাম৷ আমার তীব্র ওয়াসওয়াসা সমস্যা থাকায় পানি ব্যবহার করিনি, হাতের ওখানে ধুতে অনেক পানি খরচ হত৷ এটা কি ঠিক হয়েছে?
২৷ আমি আগে প্রশ্ন করেছিলাম, বেসিনে যেহেতু ময়লা/নাপাক হাত ধোয়া হয়৷ তাই সেখান থেকে ছিটে আসা পানি নাপাক কিনা! আপনারা বলেছিলেন, গন্ধ না পাওয়া গেলে তাতে সমস্যা নেই৷ যেহেতু আমার ওয়াসওয়াসাজনিত সমস্যা আছে, বেসিন থেকে ছিটে আসা পানি হাতে বা গায়ে লাগলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলি বা শুকিয়ে ফেলি৷ কারণ ধুতে গেলে অনেক পানি নষ্ট করে ফেলি৷ এজন্য তখন পানি নষ্ট না করে ওই অবস্থায় অন্য কাজ নরমালি করে পরদিন গোসলে সেখানে ধুয়ে ফেলি৷ এটা কি ঠিক আছে, নাকি পানি ছিটে লাগলে এড়িয়ে যাবো? আসলে এটার জন্য চিন্তায় আমার অনেক সময় ব্যয় হয়৷
৩৷ আমাদের গোসলখানা আর টয়লেট একসাথে৷ বাথরুম ফ্লোর প্রায় ভেজা থাকে৷ টয়লেট করে হাত ধোয়া বা বিভিন্ন কারণে পায়ে উপরের দিকে এক দুই পানি ফোটা ছিটে আসে৷ এরপর যেহেতু ফ্লোর ভেজা তাই এক পা ধুতে গেলে অন্য পায়ে পানি ছিটে লাগে৷ এভাবে ধুতে অনেক পানি খরচ হয়৷ পানির এমন অপচয় রোধে আমি বাথরুমে যাওয়ার সংখ্যা কমিয়ে দিছি৷ এভাবে এক দুই ফোটা পানি ছিটে আসলে কি করণীয় জানাবেন, স্বাভাবিকভাবে এই পানিতে গন্ধ পাওয়া যায় না৷ তবে এখানে ফরয গোসল করি, ফ্লোর ভেজা থাকা আর স্যান্ডেলের তলায় তাই নাপাক থাকবার দুঃশ্চিন্তা হয়৷ এজন্য ময়লা হাত ধোবার পানি বা ফ্লোর থেকে ছিটে আসলে ধোয়া শুরু করি৷ সমাধান দেবেন