জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَذَكِّرْ إِنَّمَا أَنتَ مُذَكِّرٌ
অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা,
لَّسْتَ عَلَيْهِم بِمُصَيْطِرٍ
আপনি তাদের শাসক নন,
إِلَّا مَن تَوَلَّى وَكَفَرَ
কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের হয়ে যায়,
فَيُعَذِّبُهُ اللَّهُ الْعَذَابَ الْأَكْبَرَ
আল্লাহ তাকে মহা আযাব দেবেন।
إِنَّ إِلَيْنَا إِيَابَهُمْ
নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট,
ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا حِسَابَهُمْ
অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব।
অাল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى وَإِن تَدْعُ مُثْقَلَةٌ إِلَى حِمْلِهَا لَا يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبَى إِنَّمَا تُنذِرُ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالغَيْبِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَمَن تَزَكَّى فَإِنَّمَا يَتَزَكَّى لِنَفْسِهِ وَإِلَى اللَّهِ الْمَصِيرُ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। আপনি কেবল তাদেরকে সতর্ক করেন, যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখেও ভয় করে এবং নামায কায়েম করে। যে কেউ নিজের সংশোধন করে, সে সংশোধন করে, স্বীয় কল্যাণের জন্যেই আল্লাহর নিকটই সকলের প্রত্যাবর্তন।(৩৫:১৮)
من عرض نفسه للتهمة فلا يلومن من أساء الظن به)) منها ما أخرجه ابن أبي الدنيا في الصمت من طريق عكرمة،
হযরত উমর/আলী রাযি বলেন,যে ব্যক্তি নিজেকে তুহমতের জায়গায় নিক্ষেপ করলো,তার ব্যাপারে লোকজনের ধারণা মন্দ হলে,সে যেন নিজকে ব্যতীত অন্যকে দোষারোপ না করে।(ইবনে আবি দুনিয়া)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীয়ত যাদেরকে অভিভাবকের দায়িত্ব অর্পন করেছে,এবং যে অভিভাবকত্ব সম্পর্কে আল্লাহ কিয়াসতের ময়দানে লোকদিগকে জিজ্ঞাসা করবেন,তারা তাদের অধিনস্থদের সম্পে্কে দ্বীনী বিধি বিধানের হিসাব নিকাশ নিতে পারবে।তাছাড়া অন্যকারো ধর্ম পালন সম্পর্কে কোনো প্রকার প্রশ্ন তুলা যাবে না।কেননা আল্লাহ তা'আলা নবী সাঃ কে বলেন,হে নবী আপনি তো শাষক বা দারগা নন।তাছাড়া হাশরের ময়দানে কেউ কারো বোঝাকে বহন করবে না।
তবে নিজেকে সর্বদা তুহমতের স্থান থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।যাতেকরে নিজের উপর কোনো প্রশ্ন না আসে।