আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
198 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (49 points)

আসসালামু আলাইকুম শাইখ

অনেক দ্বীনি ভাই আছেন যারা এটা কেন করলাম সেটা কেন করলাম না ওইটা কেন করবো এই ধরনের কৈফিয়ত জানতে চান। 

তারা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি হাদিস দিয়ে দলীল দেন যেখানে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বিবি-কে নিয়ে রাস্তায় হাটছিলেন এবং লোকদের সন্দেহ দূরীভূত করার জন্য তিনি তাদের ডেকে বলেছিলেন যে ইনি আমার বিবি।

মুহতারাম,এখন আমাদের সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও কি এই যুক্তি বর্তাবে কি না?    

আমরা তো সাধারণ মানুষ দাওয়াতি কাজের সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত না এবং সবাইকে নিজের মত ও পথের প্রতি আসতে বলি না।   

অন্য কেউ আমার সম্পর্কে কি ধারণা করলো এটার ব্যাখ্যা সবাইকে দিতে হবে কি না?আশেপাশের মানুষ জানে কম-বেশি।

কিন্তু আজকাল দেখা যায় প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কাছে কোন কারণ ছাড়াই দ্বীনি কৈফিয়ত চেয়ে বসেন।

অন্যকেউ যদি আমার ব্যাপারে বিরূপ ধারণা পোষণ করে এর ফলে গুনাহ হবে কি-না?

তার কাছে যদি জবাবদিহিতা করতেই হয় কতটুকু করতে হবে।কেন করতে হবে?

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে জানাবেন।

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

–1 vote
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
জবাবঃ-
 আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَذَكِّرْ إِنَّمَا أَنتَ مُذَكِّرٌ
অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা,
لَّسْتَ عَلَيْهِم بِمُصَيْطِرٍ
আপনি তাদের শাসক নন,
إِلَّا مَن تَوَلَّى وَكَفَرَ
কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের হয়ে যায়,
فَيُعَذِّبُهُ اللَّهُ الْعَذَابَ الْأَكْبَرَ
আল্লাহ তাকে মহা আযাব দেবেন।
إِنَّ إِلَيْنَا إِيَابَهُمْ
নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট,
ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا حِسَابَهُمْ
অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব।


অাল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى وَإِن تَدْعُ مُثْقَلَةٌ إِلَى حِمْلِهَا لَا يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبَى إِنَّمَا تُنذِرُ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالغَيْبِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَمَن تَزَكَّى فَإِنَّمَا يَتَزَكَّى لِنَفْسِهِ وَإِلَى اللَّهِ الْمَصِيرُ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। আপনি কেবল তাদেরকে সতর্ক করেন, যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখেও ভয় করে এবং নামায কায়েম করে। যে কেউ নিজের সংশোধন করে, সে সংশোধন করে, স্বীয় কল্যাণের জন্যেই আল্লাহর নিকটই সকলের প্রত্যাবর্তন।(৩৫:১৮)
من عرض نفسه للتهمة فلا يلومن من أساء الظن به)) منها ما أخرجه ابن أبي الدنيا في الصمت من طريق عكرمة،
হযরত উমর/আলী রাযি বলেন,যে ব্যক্তি নিজেকে তুহমতের জায়গায় নিক্ষেপ করলো,তার ব্যাপারে লোকজনের ধারণা মন্দ হলে,সে যেন নিজকে ব্যতীত অন্যকে দোষারোপ না করে।(ইবনে আবি দুনিয়া)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীয়ত যাদেরকে অভিভাবকের দায়িত্ব অর্পন করেছে,এবং যে অভিভাবকত্ব সম্পর্কে আল্লাহ কিয়াসতের ময়দানে লোকদিগকে জিজ্ঞাসা করবেন,তারা তাদের অধিনস্থদের সম্পে্কে দ্বীনী বিধি বিধানের হিসাব নিকাশ নিতে পারবে।তাছাড়া অন্যকারো ধর্ম পালন সম্পর্কে কোনো প্রকার প্রশ্ন তুলা যাবে না।কেননা আল্লাহ তা'আলা নবী সাঃ কে বলেন,হে নবী আপনি তো শাষক বা দারগা নন।তাছাড়া হাশরের ময়দানে কেউ কারো বোঝাকে বহন করবে না।

তবে নিজেকে সর্বদা তুহমতের স্থান থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।যাতেকরে নিজের উপর কোনো প্রশ্ন না আসে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...