আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,
১. এক ভিডিওতে একজন ওয়াজে বললেন, রাসুল (স.) এর কাছে কিছু দাড়ি ছাড়া লোক দেখা করতে এসেছিল তিনি তাদের দিকে তাকান নি। এরপর বলল, দাড়ি বিহীন লোকদের দিকে তাকানো হারাম। এই কথা টা কি সঠিক? কেউ সম্পূর্ণ দাড়ি কামালে কি তার দিকে তাকানো হারাম হবে?

২. কোন ব্যক্তি দাড়ি রাখা কে উত্তম মনে করে জায়েজ মনে করে ও সম্পূর্ণ সম্মান করে। কিন্তু নিজে দাড়ি রাখে না। সে জানে এতে গুনাহ হয়। এতে সে যদি মন চায় না বলে রাখে না বা স্টাইল করার জন্য না রাখে কিন্তু দাড়ি রাখাকে উত্তম ও সম্মানের বলেও বিশ্বাস করে। এতে কি কুফরি হবে না কবিরা গুনাহ হবে শুধু?
৩. পূর্বের ফাতওয়া থেকে জানতে পেরেছি যে, মিশনারী প্রতিষ্ঠান গুলোর থেকে বৈধ শিক্ষা গ্রহন জায়েজ আছে। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠান গুলোতে পড়তে হলে যে ইউনিফর্ম পড়তে হয় সেখানে যদি বিধর্মীদের প্রতীক থাকে তাহলে

(ক) কুফরি হবে? সে যদি সেই প্রতীককে ঘৃনা কঅরে কিন্তু পড়তে হয়।

(খ) এতে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া বৈধ শিক্ষা কি হারাম হবে না শুধু উক্ত কাজের জন্য গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো দাড়ি না রাখা , মুন্ডিয়ে ফেলা বা এক মুষ্ঠির কম রাখা হারাম ও কবীরা গুনাহ। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
عن ابن عمر  : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( خالفوا المشركين وفروا اللحى وأحفوا الشوارب  . وكان ابن عمر إذا حج أو اعتمر قبض على لحيته فما فضل أخذه

হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা মুশরিকদের বিরোধীতা কর। দাড়ি লম্বা কর। আর গোঁফকে খাট কর।
আর ইবনে ওমর রাঃ যখন হজ্ব বা ওমরা করতেন, তখন তিনি তার দাড়িকে মুঠ করে ধরতেন, তারপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৫৫৩}

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়ে হাদীস খুজে পাইনি।
দাড়ি বিহীন লোকদের দিকে তাকানো হারাম। এই কথা সঠিক নয়।
,
কেউ সম্পূর্ণ দাড়ি কামালে তার দিকে তাকানো হারাম হবেনা।
,
(০২)
কুফরি হবেনা।
কবিরা গুনাহ হবে। 
,
(০৩)
 ক,
যদি সে ঘৃণা করে উক্ত ইউনিফর্ম পরিধান করে,তাহলে কুফরি হবেনা।
,
খ,
এক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া বৈধ শিক্ষা  হারাম হবে না।
শুধু উক্ত কাজের জন্য গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...