জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
https://ifatwa.info/27029/ আমরা উক্ত ফতওয়া বলেছিলাম যে আপনার ঈমান ঠিক আছে।কারণ,কাউকে বেঈমান, কাফের বলা বা মুশরিকদের বলা খুব স্পর্শ কাতর বিষয়।
কাফের বলার ক্ষেত্রে উসূলঃ
আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199
কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি (অন্যায়ভাবে) তার মুসলমান ভাইকে ‘কাফির’ বলে, নিঃসন্দেহে তাদের যেকোনো একজনের প্রতি কুফরি আপতিত হবে। তার কথায় বাস্তবতা না থাকলে কুফরি তার নিজের দিকেই বর্তাবে।’ (বুখারি : ২/৯০১, মুসলিম : হাদিস ১১১)
এই হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে জানা যায়, অকাট্য প্রমাণ ছাড়া কোনো মুসলমানকে ‘কাফির’ বলা হারাম। এমনকি অজ্ঞতাবশত কেউ শরিয়তের কোনো বিধান অস্বীকার বা বিরোধিতা করলেও তার বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে। (মুখতাসারু ফতোয়া মিসরিয়া : ৫৭২; আল আওয়াসেম : ৪/১৭৪)
আল্লামা শামি (রহ.) লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তি রসিকতা করে কিংবা খেলতামাশাচ্ছলে কুফরি শব্দ উচ্চারণ করে, সব আলেমের ঐকমত্যে সে কাফির হয়ে যাবে।’ (ফতোয়ায়ে শামি : ৪/২২৪)
ফতোয়ায়ে আলমগিরিতে বিষয়টি আরো সুন্দরভাবে এসেছে—‘ব্যঙ্গবিদ্রুপকারী যদি শরিয়তের কোনো বিধানকে হালকা মনে করে উপহাস করে এবং কুফরি শব্দ ব্যবহার করে, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে, যদিও আন্তরিক বিশ্বাস এর বিপরীত হয়।’ (ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ২/৩৭৬)
★ ১.আপনি যেহেতু শাহাদাত পড়েছেন ও তওবা করেছেন বিধায় আপনার ঈমানে সমস্যা নেই বলে আশা যায়।তবে সন্দেহ হলে পুনরায় শাহাদাত পড়বেন ও তওবা করবেন এবং এজাতীয় কাজ পরবর্তীতে যেন না হয়ে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।
২.জ্বী না শিরক হবে না।
৩,৪,৫. আল্লাহ শব্দটি মূলত আরবী যা আরবী তাজবিদ মতে একটু মোটা করে পড়তে হয়( আল্লহ এর মত)।কিন্তু আল্লাহ বা আল্লহ উভয় শব্দ দ্বারা যেহেতু শুধু আমাদের সৃষ্টিকর্তা ও রবকেই বুঝায় বিধায় তা শিরক হবে না।