জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
উল্লেখিত হাদীস সহীহ নয়।
উলামায়ে কেরামগন বলেছেনঃ-
কানযুল উম্মালে নির্ভরযোগ্য হাদীস ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে যয়ীফ, মুনকার ও মাওযূ (জাল ও ভিত্তিহীন) রেওয়ায়েত রয়েছে। কারণ কানযুল উম্মাল হিন্দুস্থানের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আল্লামা আলী মুত্তাকী আলহিন্দী রাহ.-এর অনন্য এক কীর্তি হলেও কিতাবটি মূলত হাফেয সুয়ূতী রাহ.-এর পূর্ণাঙ্গ তিনটি কিতাবের সুবিন্যস্ত রূপমাত্র।
,
সুয়ূতী রাহ.-এর তিনটি কিতাব হল : ১. আলজামেউল কাবীর, যার আরেক নাম‘জামউল জাওয়ামে’।
সূয়ুতী রাহ.-এর ইচ্ছা ছিল, বিভিন্ন কিতাবে বিক্ষিপ্ত সব ধরনের হাদীসগুলোকে কওলী ও ফে’লী দুভাগে ভাগ করে এই কিতাবে সংকলিত করা। সে হিসেবে এই কিতাবে সহীহ, হাসান ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে যয়ীফ, মুনকার ও মাওযূ রেওয়ায়েত এসেছে। ২. আলজামেউস সগীর। সূয়ুতী রাহ. এই কিতাবে মাওযূ কোনো রেওয়ায়েত না আনার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।
৩. যিয়াদাতুল জামেউস সগীর। এটিও জামেউস সগীর-এর শর্ত অনুযায়ী পরিবর্তীতে বর্ধিত হাদীসগুলোর সংকলন।
,
এই দুটি কিতাবে মাওযূ (জাল) হাদীস না আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও সূয়ুতী রাহ. এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি। এছাড়া যয়ীফ ও মুনকার পর্যায়ের রেওয়ায়েত তো রয়েছেই।
কানযুল উম্মাল-এ এই তিনটি কিতাবকে ফিকহী অধ্যায় অনুসারে বিন্যস্ত করা হয়েছে মাত্র।
অতএব স্বাভাবিকভাবেই সূয়ুতী রাহ.-এর তিন কিতাবের যয়ীফ, মাওযূ ও মুনকার রেওয়ায়েতসমূহ কানযুল উম্মাল-এ হুবহু রয়ে গেছে।
,
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছে
خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.
আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্বপ্নটি অনেক মুবারক একটি স্বপ্ন।
আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন,তাহলে আপনার নেক সন্তান হবে,যাকে অনেকে অনুসরণ করবে ,ইনশাআল্লাহ।
আপনি যদি সব নিয়ম কানুন মেনে খুশু খুজুর সহিত নামাজ আদায় করেন,তাহলে রুহানী তরক্কি হবে।