আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
292 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম । অনেক সময় ফেসবুক, ইউটিউব বা কিছু বইপত্র, ওয়াযে, লোকমুখে, মুরুব্বীদের মুখে শোনা যায় বিপদ মুক্তি , চাকরি, কঠিন সমস্যা, রিজিক ইত্যাদির জন্য পরীক্ষিত কিছু আমল আছে যেগুলো কিনা অতীতের কোন বুজুর্গ ব্যাক্তি করে ফল পেয়েছেন। আবার এরকম কিছু বই আছে যেমন , আমলে কাশ্মীরি (রহ.), আমলে আশরাফ আলী থানভী (রহ.) ইত্যাদি। এখন আমার প্রশ্ন হল সমস্যা সমাধানের নিয়্যতে এরকম আমল কি করা যাবে ? নাকি এগুলো বিদআত হবে ? আসসালামু আলাইকুম । অনেক সময় ফেসবুক, ইউটিউব বা কিছু বইপত্র, ওয়াযে, লোকমুখে, মুরুব্বীদের মুখে শোনা যায় বিপদ মুক্তি , চাকরি, কঠিন সমস্যা, রিজিক ইত্যাদির জন্য পরীক্ষিত কিছু আমল আছে যেগুলো কিনা অতীতের কোন বুজুর্গ ব্যাক্তি করে ফল পেয়েছেন। আবার এরকম কিছু বই আছে যেমন , আমলে কাশ্মীরি (রহ.), আমলে আশরাফ আলী থানভী (রহ.) ইত্যাদি। এখন আমার প্রশ্ন হল সমস্যা সমাধানের নিয়্যতে এরকম আমল কি করা যাবে ? নাকি এগুলো বিদআত হবে ?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম 
জবাব,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ

‘(দ্বীনের নামে) নবউদ্ভাবিত সকল বিষয় থেকে দূরে থাক।’

পূর্ণ হাদীসটি হলোঃ 
রাসুল সাঃ বলেন-

وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.

আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)

আরেক হাদীসে আছে-

مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .

‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
কুরআন হাদীস থেকে উক্ত বিষয়গুলো দিয়ে বিশেষ পদ্ধতির এই আমল গুলো বর্ণিত নেই।তবে সেগুলো কিছু বুযুর্গানে দ্বীনদের পরিক্ষিত আমল।
এসব আমল সম্পর্কে শরীয়তের  নীতিমালা হলো ইবাদতের নিয়তে না করে,এবং জরুরী মনে না করে যদি চিকিৎসার নিয়তে এসব আমল করে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই। 
জায়েজ আছে।

আল্লাহ তায়ালা চাহেন তো তার মনের নেক মাকসাদ পূর্ণ হবে,ইনশাআল্লাহ।

তবে এগুলোকে সুন্নাত মনে করা,জরুরি মনে করা,  কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করে তাহা পড়া বিদআত। নতুবা এমনিতে পড়তে কোন সমস্যা নেই।

আরো জানুনঃ 

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...