আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
254 views
in পবিত্রতা (Purity) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম।
কেউ যদি  কোরআন শরীফ ছুঁয়ে  কাউকে কথা  দেয় এমনভাবেঃ"আমি  অমুক সালের অমুক  তারিখের  আগে এই বিষয়ে আর কথা বলবো না,যদি  বলি তাহলে  আমি, আমার মা-বাবা- ভাই কাফির। অথবা কাফির  হয়ে যাবো।"

১)এখন  যাকে কথা দেওয়া হয়েছিল, সে নিজেই যদি  অমুক  সালের অমুক  তারিখের  আগে ঐ বিষয়ে কথা বলার অনুমতি দেয়,তাহলে কি ঐ বিষয়ে কথা বলা যাবে???

২) যদি  অমুক  সালের অমুক  তারিখের  আগে  কথা বলা জরুরী  হয়,তাহলে এখন কিভাবে  কথা বলা যাবে?

কথা বলা  জরুরী  হলে এখন করনীয়  কি?

৩)শপথটা ভাঙলে কি সে,তার মা-বাবা- ভাই সবাই সত্যিই কাফের হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

.
শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 
সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে

"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)

"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।
.
الفتاوى الهندية (2/ 54):
"ولو قال: إن فعل كذا فهو يهودي، أو نصراني، أو مجوسي، أو بريء من الإسلام، أو كافر، أو يعبد من دون الله، أو يعبد الصليب، أو نحو ذلك مما يكون اعتقاده كفرًا فهو يمين استحسانًا، كذا في البدائع.
حتى لو فعل ذلك الفعل يلزمه الكفارة، وهل يصير كافرًا؟ اختلف المشايخ فيه، قال: شمس الأئمة السرخسي - رحمه الله تعالى -: والمختار للفتوى أنه إن كان عنده أنه يكفر متى أتى بهذا الشرط، ومع هذا أتى يصير كافرًا لرضاه بالكفر".
সারমর্মঃ
কেহ যদি বলে যদি সে অমুক কাজ করে,তাহলে সে ইহুদি, নাছরানী,মূর্তিপূজক,ইসলাম থেকে বাহির,  কাফের,,,,
তাহলে ঐ কাজ করলে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে।
সে কাফের হবে কিনা,এ মর্মে উলামায়ে কেরামগন দের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
পছন্দনীয় মত হলো কুফরীর প্রতি সন্তুষ্টির কারনে সে কাফের হয়ে যাবে।
,
(০১)
তাহলেও বলা যাবেনা।
বললে কাফফারা দিতে হবে।
,
(০২)
এখানে কোনো ছুরত নেই।
কথা বললেই কাফফারা দিতে হবে।
,
(০৩)
তার মা বাবা,ভাই কাফের হবেনা।
তবে তাকে কালেমা পড়তে হবে।
,
(যদিও এই মাসয়ালায় সে কাফের হবে কিনা,এই মর্মে উলামায়ে কেরামগন দের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে,তাই সতর্কতামূলক কালেমা পড়ে নেওয়াই উচিত।)  



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...