আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
282 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
reshown by
কোনো পুরুষ বা নারী যদি নিজের / অন্যের মলদ্বারে হাতের আঙ্গুল, কোনো সবজি/ডিম বা সেক্সটয় ঢুকায় তাহলে যার মলদ্বারে ঢুকানো হবে তার কি
১. ওজু ভেঙ্গে যাবে?
২. গোসল ফরজ হবে?
৩. যদি সে রোজাদার হয় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে?
আরো কিছু ছুরতঃ

১. যদি থুথু, তেল, ভ্যাসলিন দিয়ে পিছলা করে নেয় আর যদি এসব ব্যবহার ছাড়া সরাসরি ঢুকায় তাহলে কি হুকুমে পার্থক্য হবে?
২. একচাপে ঢুকিয়ে এরপর একটানে বের করলে কী হবে আর বারবার ঢুকাতে এবং বের করতে থাকলে হুকুমে পার্থক্য হবে?
৩. ছেলের মলদ্বার আর মেয়ের মলদ্বার (লিঙ্গভেদে) হুকুম কি পরিবর্তন হবে?
কারণ ছেলেদের প্রোস্টেট গ্রন্থিতে চাপ লাগলে যৌনউত্তেজনা সৃষ্টি হয় (পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে যায়) এবং মজি ও ক্ষেত্রবিশেষ মনি বের হয়ে যায়।কিন্তু মেয়েদের প্রোস্টেট গ্রন্থি না থাকায় এটা হয় না।
এই কাজগুলো যৌনবিকৃতি এবং গুনাহের কাজ, আমি জানি। আমি শুধু মাসয়ালা জানতে চাচ্ছিলাম।
এটি যেহেতু অশ্লীল প্রশ্ন এবং এটা পড়লে অনেকে নতুন করে অশ্লীলতা শিখবে (নতুন নতুন আইডিয়া পাবে) এবং প্র্যাকটিক্যালি করে দেখতে চাইবে তাই দয়া করে এটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবেন না।
প্রসঙ্গত আরেকটি মাসয়ালা এসে যায়- (এটি মুনাসিব মনে করলে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে পারেন)

ছেলেরা হস্তমৈথুন করলে গুনাহ হয়, মেয়েরা যদি তাদের জরায়ুতে আঙ্গুল/সবজি/সেক্সটয় ব্যবহার করে তাহলে কি গুনাহ হবে?
এবং গোসল ফরয হবে?
স্বামী যদি যৌনতার ক্ষেত্রে দুর্বল হয় (এবং সন্তান থাকার কারণে/পারিবারিক সম্মানের দিকে তাকিয়ে বা আর্থিক দুর্বলতার কারণ/সমাজের লোকের কথার ভয়ে বা  অন্য কারণে তালাক চাওয়া/নেয়া সম্ভব না হয়) তাহলে কি মেয়েরা এটা করার অনুমতি পাবে? কারণ যিনা/পরকিয়া করার চেয়ে তো এটা ভাল।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জ্বী, মলদ্বারে কোনো কিছু প্রবেশ করালে অজু ভেঙ্গে যাবে, রোযা ফাসিদ হবে।তবে গোসল ফরয হবে না।

(১)
না, হুকুম প্রায় একই থাকবে।হুকুমে কোনো প্রকার পার্থক্য আসবে না।
(২)
একটানে প্রবেশ করারো হোক বা বের করা হোক, বা বারংবার করা হোক,হুকুম একই।
(৩)
ছেলে মেয়ে উভয়ের মলদ্বারের হুকুম প্রায় একই।

(৪)
হস্তমৈথুন চায় পুরুষ বা নারী করুক। সবকটির বিধান প্রায় একই।

https://www.ifatwa.info/6080 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ وَقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّكُم مُّلاَقُوهُ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।(সূরা বাকারা-২২৩)

আল্লাহ অত্র আয়াতে স্ত্রীর সাথে সহবাস ও স্ত্রীর নিকট থেকে ফায়দা গ্রহণের মূলনীতি মূলক আলোচনা করছেন।সুতরাং পিছনের রাস্তা ব্যতীত স্ত্রীর কাছ থেকে যেকোনো পদ্ধতিতে ফায়দা গ্রহণ করা যাবে, এ অনুমতি রয়েছে।

সুতরাং স্ত্রীর শরীরের যেকোনো অঙ্গ দ্বারা ফায়দা গ্রহণ জায়েয।এজন্য উলামায়ে কেরাম বলেন,কোনো কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে,তখন স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।

এ বিধান কি শুধুমাত্র স্বামীর জন্য যে,সে তার স্ত্রীর কাছে থেকে গ্রহণ করতে পারবে? না স্ত্রীও তার স্বামীর কাছ থেকে পারবে?
উত্তরে বলা যায়,
ফায়দা গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়ের বিধান প্রায় সমান সমান।
যেভাবে স্বামী ফায়দা নিতে পারবে,ঠিক সেভাবে স্ত্রীও ফায়দা নিতে পারবে।

ফায়দা গ্রহণের কথা আল্লাহ কুরআনে এভাবে উল্লেখ করেন যে,
أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَآئِكُمْ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ
রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ।(সূরা বাকারা-১৮৭)

সুতরাং স্বামী তার স্ত্রীকে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে সুখ দিতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...