بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ
দুধ পানের মুদ্দত বা সর্বোচ্ছ সময়সীমা দুই বৎসর।দুই বৎসর পর
সন্তানকে দুধ পান করানো হারাম।দুই বৎসর পর যদি কোনো শিশু কোনো মহিলার দুধ পান করে নেয়,তাহলে এদ্বারা দুধ
সম্পর্ক প্রমাণিত হবে না।সুরা নিসার ২৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّهٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُکُمۡ وَ
اَخَوٰتُکُمۡ وَ عَمّٰتُکُمۡ وَ خٰلٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُ الۡاَخِ وَ بَنٰتُ الۡاُخۡتِ
وَ اُمَّهٰتُکُمُ الّٰتِیۡۤ اَرۡضَعۡنَکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ مِّنَ الرَّضَاعَۃِ وَ
اُمَّهٰتُ نِسَآئِکُمۡ وَ رَبَآئِبُکُمُ الّٰتِیۡ فِیۡ حُجُوۡرِکُمۡ مِّنۡ
نِّسَآئِکُمُ الّٰتِیۡ دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ ۫ فَاِنۡ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا دَخَلۡتُمۡ
بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ ۫ وَ حَلَآئِلُ اَبۡنَآئِکُمُ الَّذِیۡنَ مِنۡ
اَصۡلَابِکُمۡ ۙ وَ اَنۡ تَجۡمَعُوۡا بَیۡنَ الۡاُخۡتَیۡنِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ
ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿ۙ۲۳﴾
তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে,
তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজীদেরকে, ভাগ্নীদেরকে, তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান
করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে, তোমাদের
শ্বাশুড়ীদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর
অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি
তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত
পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র করা(তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে
যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
وقلیل الرضاع وکثیره سواء في إثبات الحرمة ؛ لأن
المنصوص علیه فعل الإرضاع دون العدد. قال اللّٰہ تعالیٰ: وَاُمَّہَاتُکُمُ
اللَّاتِيْ اَرْضَعْنَکُمْ
محمود بن أحمد، برهان الدين، الامام، المحیط، 4: 95
সারমর্মঃ অল্প হোক বা বেশি হোক,হুরমত প্রমানিত হওয়ার
দিক দিয়ে সমান।
قیل لابن عمر رضي اللّٰه عنهما إن ابن الزبیر یقول لا
تحرم الرضعة ولا الرضعتان. فقال: قضاء اللّٰه تعالیٰ أولیٰ من قضاء ابن الزبیر.
قال اللّٰه تعالیٰ: وَاُمَّهٰتُکُمُ اللاَّتِیْ اَرْضَعْنَکُمْ وَاَخَوَاتُکُمْ
مِنَ الرَّضَاعَةِ.
فخرالدين الزيلعي، عثمان بن علي، تبیین الحقائق، 2: 631
সারমর্মঃ ইবনে যুবায়ের রাঃ যখন মাসয়ালা বলেছিলেন যে এক বা দুই
বার দুধ পানের দ্বারা রাজায়াত প্রমানিত হয়না,তখন ইবনে ওমর রাঃ বলেছেন যে আল্লাহর ফায়সালা
ইবনে যুবায়েরের ফায়সালা থেকে সঠিক।
قلیل الرضاع وکثیره إذا حصل في مدة الرضاع تعلق به
التحریم. کذا في الهدایة
نظام الدین و جماعته، الفتاویٰ الهندیة، 1: 342
সারমর্মঃ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুধ অল্প পরিমান পান করুক বা
বেশি পরিমান, তার সাথে হুরমতের সম্পর্ক স্থাপন হবে।
বর্ণনায় এসেছে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলতেন, জন্মের কারণে যাদেরকে হারাম গণ্য করো দুধ পানের কারণেও তাদেরকে হারাম গণ্য
করবে। [মুসলিম: ১৪৪৫]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
* দুধ পান করার সময় কাল সংক্রান্ত ফুকাহায়ে কেরামদের
মাঝে মতবিরোধ রয়েছে, তাই এক্ষেত্রে সতর্কতামূলক সময়কাল হিসেবে
বাচ্চার আড়াই বছর ধরতে হবে।দুধ দুই বৎসর মতান্তরে আড়াই্ বছরের বয়সের ভিতর দুধ পান করাতে
হবে। তবে দুই বছরের মতটিই বেশী নির্ভরযোগ্য মত।
এর বিশদ বিবরণ এই যে, দুধ পানের নির্দিষ্ট সময়কালে কোন বালক অথবা
বালিকা কোন স্ত্রীলোকের দুধ পান করলে সে তাদের মা এবং তার স্বামী তাদের পিতা হয়ে যায়।
এছাড়া সে স্ত্রীলোকের আপন পুত্র-কন্যা তাদেরই ভাই-বোন হয়ে যায়। অনুরূপ সে স্ত্রীলোকের
বোন তাদের খালা হয় এবং সে স্ত্রীলোকের দেবর-ভাসুররা তাদের চাচা হয়ে যায়। তার স্বামীর
বোনেরা শিশুদের ফুফু হয়ে যায়। দুধ পানের কারণে তাদের সবার পরস্পরের বৈবাহিক অবৈধতা
স্থাপিত হয়ে যায়।বংশগত সম্পর্কের কারণে পরস্পর যেসব বিয়ে হারাম হয়, দুধ পানের সম্পর্কের কারণে সেসব সম্পৰ্কীদের সাথে বিয়ে করা হারাম হয়ে যায়।
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/1490/
কাউকে মাহরাম বানানোর
উদ্দেশ্যে সামান্য কিছু দুধ পান করালেই হুরমত প্রমাণিত হয়ে যাবে,
যদিও তা দু্ই তিন ফোটা হয়।