জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ، فَذَلِكَ نُقْصَانُ دِينِهَا»
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, হায়েজা মহিলা নামায পড়বে না এবং রোযা রাখবে না, এটা কি ঠিক নয়? আর এটাই তাদের দ্বীনের ত্রুটি। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৯৫১]
عَنْ مُعَاذَةَ، قَالَتْ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ: مَا بَالُ الْحَائِضِ تَقْضِي الصَّوْمَ، وَلَا تَقْضِي الصَّلَاةَ. فَقَالَتْ: أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ؟ قُلْتُ: لَسْتُ بِحَرُورِيَّةٍ، وَلَكِنِّي أَسْأَلُ. قَالَتْ: «كَانَ يُصِيبُنَا ذَلِكَ، فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ، وَلَا نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلَاةِ»
হযরত মুআজা বলেন, আমি আয়শা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম-হায়েজার হুকুম কী? সে কি রোযার কাযা করবে? নামাযের কাযা করবে না? আম্মাজান বললেন- তুমি হারুরিয়ার অধিবাসী? আমি বললাম- নাহ।আমিই প্রশ্ন করছি। তিনি বললেন- “আমাদের এমন হলে, আমাদের রোযার কাযার আদেশ দেয়া হতো, কিন্তু নামাযের কাযার নির্দেশ দেয়া হতো না। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৩৫]
★ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর মতে হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা তিনদিন তিনরাত।
হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ
’’ أقل الحیض ثلا ثة أیام ولیالیها ومانقص من ذٰلک فهو استحاضة‘‘. (الهداية ۱؍۶۲)
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা তিনদিন তিনরাত।
এর কম হলে তাহা ইস্তেহাজা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার যদি শুধু ঐ একদিনই রক্তস্রাব আসে,তাহলে সেটি মাসিক নয়।
সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ।
তাই আপনি নামাজ আদায় করবেন।