بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
প্রতি মাসে মহিলাদের হায়েজ হওয়াটা স্বাভাবিক
প্রাকৃতিক বিষয়। এটা আল্লাহ তাআলার নেজাম। ঔষুধের মাধ্যমে এটাকে বন্ধ করে রাখাটা উচিত
হবে না। এতে শারিরীকভাবে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।আল্লাহ তাআলা যেহেতু হায়েজের কারণে
নামাজ মাফ করে দিয়েছেন ও রোযা না রাখার অনুমতি প্রদান করেছেন, তাই সে সময় হায়েজ স্বাভাবিক রাখাটাই উচিত।
عَنْ
مُعَاذَةَ، قَالَتْ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ: مَا بَالُ الْحَائِضِ تَقْضِي
الصَّوْمَ، وَلَا تَقْضِي الصَّلَاةَ. فَقَالَتْ: أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ؟ قُلْتُ:
لَسْتُ بِحَرُورِيَّةٍ، وَلَكِنِّي أَسْأَلُ. قَالَتْ: «كَانَ يُصِيبُنَا ذَلِكَ،
فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ، وَلَا نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلَاةِ»
হযরত মুআজা বলেন, আমি আয়শা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম-হায়েজার হুকুম কী? সে কি রোযার কাযা করবে? নামাযের কাযা করবে না?
আম্মাজান বললেন- তুমি হারুরিয়ার অধিবাসী? আমি বললাম-
নাহ।আমিই প্রশ্ন করছি। তিনি বললেন- “আমাদের এমন হলে, আমাদের রোযার
কাযার আদেশ দেয়া হতো, কিন্তু নামাযের কাযার নির্দেশ দেয়া হতো
না। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৩৫]
عَنْ أَبِي
سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ: «أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ، فَذَلِكَ
نُقْصَانُ دِينِهَا»
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ
ইরশাদ করেছেন, হায়েজা মহিলা নামায পড়বে না এবং
রোযা রাখবে না, এটা কি ঠিক নয়? আর এটাই
তাদের দ্বীনের ত্রুটি। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৯৫১]
‘হায়েজা মহিলার জন্য উত্তম হলো নিজের
স্বাভাবিক অবস্থার ওপর থাকা। আল্লাহ তাআলা তার ওপর যে ফয়সালা করেছেন, তার ওপর সন্তুষ্ট থাকা। এমন কিছু ব্যবহার না করা, যার দ্বারা রক্ত বন্ধ হয়ে যায়। বরং হায়েজ অবস্থায় রোজা ছেড়ে দেয়া। অতঃপর রোজাগুলোর
কাজা আদায় করে নেয়া। কেননা, উম্মুল মুমিনিন ও আকাবির মহিলারা
এমনটিই করেছেন। আর যদি ওষুধ দিয়ে রক্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলেও
রোজা হয়ে যাবে।’(আপকে মাসায়েল : খণ্ড ৩, পৃ. ২০৭)
হায়েজ শুরু হওয়ার আগে ওষুধ খেয়ে তা বন্ধ
করে দেয়, তাহলে তার জন্য রোযা রাখা জায়েজ হবে। কোন সমস্যা
নেই।কিন্তু যদি রমজান চলে আসে, আর রক্ত জারি হয়ে যাওয়ার পর ওষুধ
খেয়ে বন্ধ করে দেয়, তাহলে হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা কমপক্ষে ৩ দিন
পর্যন্ত রোযা রাখতে পারবে না। এর পর থেকে রাখতে পারবে। {কিতাবুল
ফাতওয়া-৩/৪০৫}
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
প্রিশ্নেলিখিত ছুরতে হায়েজের রক্ত আসার
পূর্বে যদি কেউ ঔষুধের মাধ্যমে রক্ত আসা বন্ধ করে ,তাহলে সে নামাজ ও রোজা আদায় করবে যদিওবা ঔষুধের মাধ্যমে রক্ত বন্ধ করা সাস্থের
জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু হায়েযের রক্ত আসার পরে /চালু হওয়ার পরে ঔষুধের মাধ্যমে রক্ত আসা
বন্ধ করলে তাৎক্ষনিকভাবে নামাজ রোজা আদায় করা জায়েয নেই বরং ঐ মহিলা তার পূ্ব অভ্যাস
( ৩/৫/৭ যে কয়েক দিন তার রক্ত আসার অভ্যাস ছিল) অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিন সমূহে নামাজ ও রোজা আদায় করা থেকে বিরত থাকবে এবং পরবর্তিতে
রোজার কাজা আদায় করবে।