বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও জীবিকা উপার্জনের কোন সোর্স ব্যবস্থা করতে না পারে, এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাপারে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো অমুসলিম দেশে জায়েয কোনো চাকরি পেয়ে যায়,তাহলে দু’টি শর্ত সাপেক্ষে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং বসবাস করা জায়েয হবে।
যথাঃ-
এক. সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে। দুই. সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।
কেননা, হালাল জীবিকা অন্বেষণ করাও ফরজ ইবাদতসমূহের পর একটি অন্যতম ফরজ কাজ। আর জীবিকা উপার্জনের জন্য ইসলাম কোনো জায়গাকে নির্দিষ্ট করে দেয়নি। বরং জীবিকা উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের ব্যাপক অনুমতি রয়েছে যে, যেখান থেকে ইচ্ছা করবে সেখান থেকে জীবিকা উপার্জন করতে পারবে।
যেমন কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে :
ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﺟﻌﻞ ﻟﻜﻢ ﺍﻻﺭﺽ ﺫﻟﻮﻻ ﻓﺎﻣﺸﻮﺍ ﻓﻲ ﻣﻨﺎﻛﺒﻬﺎ ﻭﻛﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﺭﺯﻗﻪ ﻭﺍﻟﻴﻪ ﺍﻟﻨﺸﻮﺭ-
“আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন সুগম, সুতরাং তোমরা তাতে ভ্রমণ কর এবং তার দেয়া জীবিকা থেকে আহার কর, তোমাদেরকে তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে”। (সূরা মুল্ক ঃ আয়াত, ১৫)
তবে বিনা প্রয়োজনে সেখানে চাকরী এবং বসবাসের কোনো অনুমিত শরীয়তে নেই।https://www.ifatwa.info/3447
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুনিয়া অর্জনের নিয়তে অমুসলিম দেশে বসবাস করা কখনো জায়েয হবে না।তবে যদি কেউ অমুসলিমের মধ্যে দ্বীনের দাওয়াতের উদ্দেশ্যে সেখানে যায় বা সেখানে যাওয়ার পর অমুসলিমের মধ্যে দ্বীনের দাওয়াতের উদ্দেশ্য রাখে,নিজেকে ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থে নিয়োজিত রাখার দূঢ় পরিকল্পনা রাখে,তাহলে এমন মানুষের জন্য অমুসলিম দেশে যাওয়া জায়েয হবে।
এবং এমতাবস্থায় এমবিসির বিশ্বস্ততা অর্জনের নিমিত্তে তাদের কাছে মুখ খোলা ছবি প্রেরণও জায়েয হবে।