বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চুল সম্পর্কে শরয়ী বিধান হচ্ছে,পরিবেশ ও পরিস্থিতি এবং আবহাওয়া সাথে সমতা রেখে বাবড়ি চুল ও চুলমুন্ডন,এ দু-থেকে যে কোনো একটিকে গ্রহণ করা যাবে,এতে কোনোপ্রকার বিধি-নিষেধ নেই।তবে বাবড়ি চুল রাখা সুন্নাত এবং চুল মুন্ডন করাও হানাফি মাযহাব মতে সুন্নাত,অর্থাৎ উভয়টিই সুন্নাত ।(ফাতওয়ায়ে রশিদিয়া)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মাথায় তিন ধরনের চুল ছিলো।জুম্মা, লিম্মা ও ওয়াফরা।
জুম্মাঃ যা কাঁধের উপর ঝুলে পড়ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৩৫)।
লিম্মাঃ যা প্রায় কাঁধের কাছাকাছি ঘাড় পর্যন্ত ঝুলে পড়ত (নাসাঈ হা/৫০৬২)।
ওয়াফরাঃ যা কানের লতি পর্যন্ত ঝুলে থাকত।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর চুল সাধারণত জুম্মার চেয়ে ছোট এবং ওয়াফরার চেয়ে বড় থাকত (ইবনু মাজাহ হা/৩৬৩৫)।
সুতরাং লম্বা চুল রাখাই সুন্নত।তবে চতুর্দিক সমান করে ছাঁটাই করাও জায়েয রয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
চুল পানিকে আটকায় না।সুতরাং শরীরে চুল থাকার পরও গোসল করলে গোসল হয়ে যাবে।