আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
363 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
আমার চলতি মাসের ১২ তারিখ এ হায়েজ শুরু হয় এবং শেষ  হয় ১৭ তারিখ এ। এর ১২ দিন পরেই আবার  ব্লিডিং হয়( ২৯ তারিখ) । অামি ১২,১৩,১৪ তম দিন গুলো নামা্য পরেছি।৷৷ ১. অামি কি আমার নামাজ চালিয়ে যাবো(১৫ তম দিন  এর পরেও আমার ব্লিডিং হয়)? ২.আমি কি প্যাড পরিহিত অবস্থা  তেই নামা্য পরতে পারবো?  নাকি নামা্য এর সময় প্যাড খুলে রাখতে হবে? এক্ষেত্রে রক্ত পোশাক এ লেগে যায়।৷ ৩.এ সময় কি আমি কুরআন শরীফ  ধরে তিলাওয়াত করতে পারব? ৪. যদি আমার ১৬ তম দিন এর পরেও ব্লিডিং থাকে তবে   আগামি মাসে ১২/১৩ তারিখ এ যদি রেগুলার ব্লিডিং হয় তবে কি সেটা হায়েজ হিসেবে ধরব? যদি ১২ তারিখ এর আগেই ব্লিডং হয় তবে কি করবো?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ- 
প্রথম হায়েয হওয়ার পর ১৫ দিনের পূর্বে যে কয়দিন রক্ত আসবে, সেই রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে। আর ১৫ দিনের পর যে রক্ত দেখা দিবে, সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত বলা হবে।
সুতরাং আপনি ১৫ দিনের পূর্বের রক্তকে ইস্তেহাযা ধরে নিয়ে নামায চালিয়ে যাবেন।আর ১৫ দিনের পরবর্তী রক্তকে হায়েয ধরে নিয়ে নামাযকে পরিত্যাগ করবেন।

(وأما) صاحبة العادة في الحيض إذا كانت عادتها عشرة فزاد الدم عليها فالزيادة استحاضة، وإن كانت عادتها خمسة فالزيادة عليها حيض معها إلى تمام العشرة لما ذكرنافي المبتدأة بالحيض، وإن جاوز العشرة فعادتها حيض، وما زاد عليها استحاضة 
সাহেবে আদত তথা যার হায়েয সারা বৎসর একি নিয়মে হয়। কোনো সাহেবে আদত মহিলার যদি ১০দিন হায়েয হওয়ার আদত থাকে।কিন্তু এখন যদি দশকে ছাড়িয়ে যায়,তাহলে ১০ এর অতিরিক্ত দিনগুলোকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।

আর যদি কোনো সাহেবে আদত মহিলার ৫দিন হায়েয হওয়ার আদত থাকে।কিন্তু এখন ৫দিন কে ছাড়িয়ে যায়,তাহলে হায়েযের সর্বোচ্ছ মেয়াদ ১০দিন পর্যন্ত হায়েযই গণ্য হবে।তবে যদি ১০কেও ছাড়িয়ে যায়,তাহলে ৫দিন পর্যন্তই হায়েয হবে। এবং পাঁচের অতিরিক্ত দিনগুলোকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।(বাদায়ে সানায়ে-১/৪১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...