আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
203 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (75 points)
edited by
১/ ছেলে/মেয়ে সন্তান কী হুরমত ব্যতীত অন্য কোনো কাজের মাধ্যমে বাবা-মার বিবাহে সমস্যা ঘটাতে পারে।অন্য যেকোন কাজ হুরমত ব্যতীত।

২/ বোনের লজ্জাস্থানে হাত গেলে করনীয়।

৩/ আব্দুল্লাহর জন্য কী তালাক নিয়ে চিন্তা করাও ওয়াসওয়াসা।

৪/ কাউকে বিরক্ত হয়ে যদি হেইথ বলা হয় তবে কী হবে।কোবো সমস্যা।

৫/ বিরক্তির স্বরে কাউকে হেইথ/ধেত/ধুত/হোপ। /হইথ/নাহ /উফ/ধোতইত্যাদি বিরক্তি সুচক কোনো শব্দ বললে কী সমস্যা হবে।যা আছে সব।

৬/ বিরক্ত হয়ে যেসব বিরক্তিসুচক শব্দ আসে সেগুলো আসলে কী সমস্যা।

৭/ মাকে যদি কেউ আপা বলে যেকোন নিয়তে তবে৷ কী সমস্যা।সেটা কেউ লেখলেও কী সমস্যা।

৮/ মাকে বা ছোট বোনকে বলা হল এত পাকনামি কর /করছ কে/tui এত পাকনামি করছ কে বা এ জাতীয় কথা তবে কী হবে সমস্যা

৯/ ছোট বোনকে বললাম হু/উহ.. দারাও না তবে কী সমস্যা হবে

১০/ হাউ মাউ খাউ বললে ও ঠুস বললে কী হবে
12/ উপরের লেখাগুলো লেখলে কী হবে।

11/ মহিলা মানুষের বুদ্ধি কম এ বলা দ্বারা কী সমস্যা হবে।

13/ kauka  bal bole gali  dila  ki pitamatar biye/onno kono somossa hobe

14/ tahajjut pora ki

15/ mufti emdadul haque ki sunamgonj taken

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
না, পারবে না।
(২)
এমন গর্হিত কাজ কি কেউ করতে পারে? হ্যা কেউ করে নিলে বা হয়ে গেলে সে আল্লাহর কাছে  তাওবাহ করবে।

(৩)
জ্বী, ওয়াসওয়াসা।

(৪)
না,বলাই উচিৎ।বলে ফেললে গোনাহ হবে না।

(৫)
না, সমস্যা হবে না।
(৬)
না, সমস্যা না।

(৭)
এমনটা বলা মাকরুহ।

(৮)
না, সমস্যা না।

(৯)
না, সমস্যা না।

(১০)
না, কিছুই হবে না।কোনো সমস্যা হবে না।

(১১)
আপনি এমনটা কেন বলবেন? আপনার জন্য নীরব থাকা শ্রেয়।

(১২)
সমস্যা হবে না।

(১৩)
না,সমস্যা হবে না।

(১৪)
সওয়াবের কাজ।

আপনি একজন মানষিক রোগি। আপনি অতিসত্বর ভালো কোনো ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হন।জাযাকাল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...