আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
356 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (47 points)
আসসালামু ওয়ালাইকুম শায়েখ।

তামীম দারী রা. থেকে বর্নিত, নবী (সাঃ) বলেছেন,
যে ব্যাক্তি একরাতে ১০০ টি আয়াত তেলোয়াত করবে, সেই ব্যাক্তির আমলনামায় সেই রাতের ইবাদাত বান্দেগী ও নফল সালাত এর সোয়াব লিপিবদ্ধ করা হবে।

(সুত্র আহমদঃ১৬৯৫৮, নাসাঈ কুবরাঃ ১০৫৫৩, ত্বাবারানীঃ ১২৩৮, সিলসিলাহ সহীহঃ ৬৪৪)

এখন কেউ যদি রাতে  ঘুমানোর আগে নিম্নলিখিত আমল গুলো করে যাদের প্রতিটির আলাদা ফজিলত রয়েছে ---

১)সুরা মুলক -----(৩০ আয়াত)

২) সুরা কাহাফ----- (প্রথম ১০ আয়াত)

৩)সুরা ফাতিহা----- (৭ আয়াত)

৪)সুরা কাফিরুন-----(৬ আয়াত)

৫) সুরা ইখলাস(৩বার) -----(১২ আয়াত)

৬)সুরা ফালাক(৩বার) -----(১৫ আয়াত)

৭)সুরা নাস(৩ বার) ------(১৮ আয়াত)

৮) সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত

মোট ১০০ আয়াত যদি কেউ পড়ে তাহলে এগুলার আলাদা আলাদা যে ফজিলত গুলো আছে এবং ১০০ আয়াত পড়লে সারারাত ইবাদাত বান্দেগীর সাওয়াবের ফজিলত একসাথে পাওয়া যাবে কি?

জাযাকাল্লাহ খায়রান

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
 رواه الطبراني: مَنْ قَرَأَ مِائَةَ آيَةٍ فِي لَيْلَةٍ، كُتِبَ لَهُ قُنُوتُ لَيْلَةٍ.
সারমর্মঃ  
যে ব্যাক্তি রাত্রে একশত আয়াত পাঠ করবে,তার নাম রাত্রীতে দন্ডায়মান কারীর লিস্টে নাম লেখা হবে।

وفي السلسلة الصحيحة للألباني: من قرأ في ليلة مائة آية لم يكتب من الغافلين، أو كتب من القانتين.
সারমর্মঃ
যে ব্যাক্তি রাত্রে একশত আয়াত পাঠ করবে,তাকে গাফেলদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবেনা।
অথবা তার নাম রাত্রীতে দন্ডায়মান কারীর লিস্টে নাম লেখা হবে । 

وفي المستدرك عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من حافظ على هؤلاء الصلوات المكتوبات لم يكتب من الغافلين، ومن قرأ في ليلة مائة آية كتب من القانتين. هذا حديث صحيح على شرط الشيخين
সারমর্মঃ
যে ব্যাক্তি ফরজ নামাজ গুলোর হেফাজত করে,তাকে গাফেলদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবেনা।
যে ব্যাক্তি রাত্রে একশত আয়াত পাঠ করবে, তার নাম রাত্রীতে দন্ডায়মান কারীর লিস্টে নাম লেখা হবে । 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   

এই একশত আয়াতের কোনো নির্দিষ্টতা নেই।
যেকোনক আয়াত হতে পারে।
তনে হাদীসের আলোকে বুযুর্গানে দ্বীন কিছু আয়াতগুলির কথা উল্লেখ করেছেন।

آية الكرسي .
جاء في صحيح البخاري معلقا (2311) عن أبي هريرة رضي اللّه عنه قال :
( وكَّلني رسولُ اللّه صلى اللّه عليه وسلم بحفظ زكاة رمضان ، فأتاني آتٍ فجعل يحثو من الطعام . . وذكر الحديث وقال في آخره : ( إذا أويتَ إلى فراشِكَ فاقرأ آيةَ الكرسي ، فإنه لن يزالَ معكَ من اللّه تعالى حافظ ، ولا يقربَك شيطانٌ حتى تُصْبِحَ . فقال النبيّ صلى اللّه عليه وسلم : " صَدَقَكَ وَهُوَ كَذُوبٌ ، ذَاكَ شَيطانٌ )
সারমর্মঃ
আয়াতুল কুরসি। 
আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) বলেন, একদা আবূ মাসউদ (রাঃ) বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করছিলেন, এমন সময় আমি তাকে কুরআন পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে সূরাহ বাক্বারাহর শেষ আয়াত দু‘টি পাঠ করবে, সেটা তার জন্য যথেষ্ট হবে।

2- آخر آيتين من سورة البقرة .
عن أبي مسعود الأنصاري رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال :
( مَن قَرَأَ بِالآيَتَينِ مِن آخِرِ سُورَةِ البَقَرَةِ فِي لَيلَةٍ كَفَتَاهُ ) رواه البخاري (5009) ومسلم (2714) قال ابن القيم في "الوابل الصيب" (132) : كفتاه من شر ما يؤذيه .
عن عليّ رضي اللّه عنه قال :
( ما كنتُ أرى أحداً يعقل ينام قبل أن يقرأ الآيات الثلاث الأواخر من سورة البقرة )
সারমর্মঃ
সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত।  
যে ব্যাক্তি রাত্রে উক্ত দুটি আয়াত পাঠ করবে,এট তার জন্য যথেষ্ট হবে। 

4،3- سورتي الإسراء والزمر
وعن عائشة رضي اللّه عنها قالت :
( كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللّهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ لا يَنَامُ حَتَّى يَقرَأَ بَنِي إِسرَائِيلَ وَالزُّمَر )
رواه الترمذي (3402) وقال : حديث حسن . وحسّنه الحافظ ابن حجر في "نتائج الأفكار" (3/65) وصححه الألباني في صحيح الترمذي .
সারমর্মঃ
সুরা বনি ঈসরাইল আর সুরা যুমার।  
রাসুলুল্লাহ সাঃ সুরা বনী ইসরাইল আর সুরা যুমার তিলাওয়াতের আগে ঘুমাতেননা।

5- سورة الكافرون :
عن نوفل الأشجعي رضي اللّه عنه قال : قال لي رسول اللّه صلى اللّه عليه وسلم :
" اقْرأ : قُلْ يا أيُّها الكافِرُونَ ثُمَّ نَمْ على خاتِمَتِها فإنَّها بَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ "
رواه أبو داود ( 5055 ) والترمذي ( 3400 ) وحسنه ابن حجر في "نتائج الأفكار" (3/61) وصححه الألباني في صحيح أبي داود .
সারমর্মঃ
সুরা কাফিরুন।
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা এই সুরা পাঠ কর,,,,,কেননা এটি শিরক থেকে মুক্তি দিবে।  

8،7،6- الإخلاص والمعوذتين :
عن عائشة رضي الله عنها : ( أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيلَةٍ جَمَعَ كَفَّيهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا فَقَرَأَ فِيهِمَا ( قُل هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) و ( قُل أَعُوذُ بِرَبِّ الفَلَقِ ) و ( قُل أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ) ، ثُمَّ يَمسَحُ بِهِمَا مَا استَطَاعَ مِن جَسَدِهِ ، يَبدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأسِهِ وَوَجهِهِ وَمَا أَقبَلَ مِن جَسَدِهِ ، يَفعَلُُ ذَلكَ ثَلاثَ مَرَّاتٍ ) رواه البخاري (5017)
সারমর্মঃ
সুরা ইখলাছ,সুরা ফালাক,সুরা নাস তিন বার তিনবার করে পাঠ করা। 

আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাতে শোয়ার জন্য তাঁর বিছানায় এসে দু’ হাত একত্র করে ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহদ’, ‘কুল আ‘ঊযুবিরব্বিল ফালাক’ ও ‘কুল আ‘ঊযু বিরব্বিন নাস’ সূরা তিনটি পড়ে (হাতে) ফুঁক দিতেন, অতঃপর সেই হাত দু’টো দিয়ে যতদূর সম্ভব তাঁর শরীর মাসেহ করতেন এবং মাথা থেকে মাসেহ শুরু করতেন, তারপর মুখমন্ডল, শরীরের সম্মুখভাগ, অতঃপর শরীরের যেখানে যেখানে হাত পৌঁছানো সম্ভব। তিনি এরূপ তিনবার করতেন।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
এক্ষেত্রে আপনি ১০০ আয়াত পাঠের ফজিলত পাওয়ার পাশাপাশি এই সুরা গুলো পড়ার যে আলাদা আলাদা ফজিলত আছে,সেগুলোও পাবেন,ইনশাআল্লাহ ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...