জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
দুর্গন্ধের সম্ভাবনায় কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে মসজিদে বা জনসম্মুখে যাওয়া মাকরুহে তানযিহি।পিয়াজ খাওয়ার দরুণ নামাযে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً فَلْيَعْتَزِلْنَا - أَوْ لِيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا - وَلْيَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ " . وَإِنَّهُ أُتِيَ بِبَدْرٍ فِيهِ خَضِرَاتٌ مِنَ الْبُقُولِ فَوَجَدَ لَهَا رِيحًا فَسَأَلَ فَأُخْبِرَ بِمَا فِيهَا مِنَ الْبُقُولِ فَقَالَ " قَرِّبُوهَا " . إِلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ كَانَ مَعَهُ فَلَمَّا رَآهُ كَرِهَ أَكْلَهَا قَالَ " كُلْ فَإِنِّي أُنَاجِي مَنْ لاَ تُنَاجِي "
আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) ......... জাবির ইবন আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসুন বা পেয়াজ খাবে, সে যেন আমাদের থেকে পৃথক থেকে, অথবা আমাদের মসজিদ হতে দূরে থাকে। আর তার উচিত, সে যেন তার ঘরের মধ্যে থাকে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি পাত্র পেশ করা হয়, যাতে সবজীর তরকারি ছিল। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরকারীর গন্ধ পেয়ে জিজ্ঞাসা করেনঃ এটি কিসের তৈরী? তখন তাঁকে তরকারি সম্পর্কে জানানো হয়। তখনা তিনি সেটি তাঁর কোন সাহাবীর নিকট রাখার জন্য নির্দেশ দেন। উক্ত সাহাবী তা খেতে অনীহা প্রকাশ করলে তিনি বলেনঃ তুমি তা খাও। কেননা, আমি এমন জাতের সঙ্গে একান্তে কথাবার্তা বলি, যার সাথে তুমি কথা বল না।
(আবু দাউদ ৩৭৭৯)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুখে পিঁয়াজের গন্ধ থাকলে নাকি ওজু থাকলেও সালাত হয়না,একথাটি সম্পূর্ণভাবে ভুল।
তবে কাজটি মাকরুহে তানযিহি তথা অনুত্তম।
রান্না করা খাবারের মাঝে পেয়াজ থাকলে সেটিতে কোনো সমস্যাই নেই।
কারন সেটি রান্না করা,তাই কোনো গন্ধও আসবেনা।
,
(০২)
না, সে মুনাফিক হবেনা।
,
(০৩)
যখন যে দেশে,বা যে দেশের উপরে ছিলো,সে দেশের ওয়াক্তই ধর্তব্য হবে।
তাই বাংলাদেশ টাইম এখানে কোনো ধর্তব্য রাখবেনা।
কাতারে ৬ টায় পৌছেছে,অর্থাৎ এখানে সে ফজরের ওয়াক্ত কাতারেই পেয়েছিলো,বা তার আগের রাষ্ট্রে,সেই হিসেব করেই সে ফজরের নামাজ আদায় করবে।
সে টেক্সাস গিয়ে পৌঁছল টেক্সাসের বিকাল ৩ টায়, সুতরাং সেখানে সে জোহরের নামাজ আদায় করবে।
সেখানে যেহেতু সে আছর ও মাগরিবের ওয়াক্তও অবস্থান করেছিলো,তাই আছর ও মাগরিব সে সেখানেই আদায় করবে।
অতঃপর আমেরিকাতে গিয়ে যেহেতু সেখানের ইশার ওয়াক্ত পেয়েছে,তাই সে আমেরিকাতে ইশার নামাজ আদায় করবে।
,
(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো কাজেরই শরীয়তে অনুমতি নেই।
আপনি হতাশ হবেননা।
কাজা নামাজ গুলোর আনুমানিক একটি হিসেব বের করে প্রতিদিন সময় বের করে অল্প অল্প করে আদায় করুন।
আল্লাহ সহায় হবেন,ইনশাআল্লাহ।
প্রয়োজনে প্রতি নামাজের পর একই ধরনের নামাজের কাজা আদায় করে নিবেন।
উদাহরণঃ
ফজর পরে ফজরের দুই রাকাতের কাজা,জোহর পরে জোহরের চার রাকাতের কাজা,আছর পরে আছরের চার রাকাতের কাজা,,,,,,,,,,
★এই ভাবে মনে মনে নিয়ত করবেন যে আমার জীবনের ১ম ফজরের নামাজ যেটার কাজা আমি আদায় করিনি,সেটা আদায়ের নিয়ত করছি।
আমার জীবনের ১ম জোহরের নামাজ যেটার কাজা আমি আদায় করিনি,সেটা আদায়ের নিয়ত করছি,,,,,।
উমরি কাজা আদায়ের নিয়ম জানুনঃ