আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
353 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (67 points)
edited by
১। মুখে পিঁয়াজের গন্ধ থাকলে নাকি ওজু থাকলেও সালাত হয়না। কিন্তু যদি রান্না করা খাবার খেয়ে নামাজ পড়ি আর তাতে পিঁয়াজ থাকে (মিশেল দেওয়া) তাহলেও কি নামাজ হবে না? নাকি এটা শুধু কাঁচা পিঁয়াজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

২। কেউ যদি মুসলিমদের বিজয়ে উল্লসিত থাকি কিন্তু জুলুমের ভয়ে প্রকাশ করতে না পেরে মনে চেপে রাখে ও বাহ্যিকভাবে জালিমের আনুগত্য করে তাহলে কি সে মুনাফিক হিসেবে গণ্য হবে?

৩। মনে করুন কেউ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাচ্ছে, পথে কাতারে ট্রানজিট। ঢাকা থেকে রাত ৩ টায় রওয়ানা করে কাতার সময় সকাল ৬ টায় সেখানে পৌঁছল (বাংলাদেশের সকাল ৯ টা)। সেখানে ২ ঘণ্টা থেকে আমেরিকার প্লেনে উঠল আর টেক্সাস গিয়ে পৌঁছল টেক্সাসের বিকাল ৩ টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৪ টা)। সেখান থেকে ৫ ঘণ্টা ট্রানজিট শেষে যথাক্রমে ২ ঘণ্টা প্লেনে ও ২ ঘণ্টা গাড়িতে কাটিয়ে আমেরিকার অন্য স্টেটে গেল।
এক্ষেত্রে তার কোন কোন ওয়াক্তের নামাজ পড়তে হবে ও ঠিক কোন কোন সময় পড়তে হবে সেটা একটু হিসাব করে বলবেন? একটু কষ্ট হবে আপনাদের কিন্তু আল্লাহ আপনাকে তার জন্য উত্তম প্রতিদান দিন। আমি আমার হিসাবের সাথে মিলিয়ে নেব ইন্শা আল্লাহ।
বিঃদ্রঃ ভ্রমণকারীর সন্দেহ হয়েছিল যখন কাতার থেকে আমেরিকায় যাচ্ছিল তখন পথে ইরান, কাজাকস্তান বা সাইপ্রাসে হয়ত কোন নামাজের ওয়াক্ত ছিল, তিনি ঠিক নিশ্চিত না। ব্যাপারটা একটু মাথায় রেখে হিসাব করে দিয়েন প্লিজ।
৪। আমার অনেক সালাত কাজা হয়ে গিয়েছে। এগুলোর কাজা আদায় করা আমার জন্য একটু কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। কাজা নামাজ মাফ হওয়ার যে দুয়া আছে তা কি সহীহ? আর না হলে আমি আবার পুনরায় মুসলিম হতে চাই, যেহেতু এতে আমার আগের জীবনের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। আগেও এরকম ধরণেরই একটি প্রশ্ন করেছিলাম, সদুত্তর পাইনি। এবার বিষয়টা আরও গভীরে একটু ভেবে দেখবেন। বিস্তারিত উত্তর আশা করছি।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
দুর্গন্ধের সম্ভাবনায় কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে মসজিদে বা জনসম্মুখে যাওয়া মাকরুহে তানযিহি।পিয়াজ খাওয়ার দরুণ নামাযে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً فَلْيَعْتَزِلْنَا - أَوْ لِيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا - وَلْيَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ " . وَإِنَّهُ أُتِيَ بِبَدْرٍ فِيهِ خَضِرَاتٌ مِنَ الْبُقُولِ فَوَجَدَ لَهَا رِيحًا فَسَأَلَ فَأُخْبِرَ بِمَا فِيهَا مِنَ الْبُقُولِ فَقَالَ " قَرِّبُوهَا " . إِلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ كَانَ مَعَهُ فَلَمَّا رَآهُ كَرِهَ أَكْلَهَا قَالَ " كُلْ فَإِنِّي أُنَاجِي مَنْ لاَ تُنَاجِي "

আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) ......... জাবির ইবন আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসুন বা পেয়াজ খাবে, সে যেন আমাদের থেকে পৃথক থেকে, অথবা আমাদের মসজিদ হতে দূরে থাকে। আর তার উচিত, সে যেন তার ঘরের মধ্যে থাকে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি পাত্র পেশ করা হয়, যাতে সবজীর তরকারি ছিল। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরকারীর গন্ধ পেয়ে জিজ্ঞাসা করেনঃ এটি কিসের তৈরী? তখন তাঁকে তরকারি সম্পর্কে জানানো হয়। তখনা তিনি সেটি তাঁর কোন সাহাবীর নিকট রাখার জন্য নির্দেশ দেন। উক্ত সাহাবী তা খেতে অনীহা প্রকাশ করলে তিনি বলেনঃ তুমি তা খাও। কেননা, আমি এমন জাতের সঙ্গে একান্তে কথাবার্তা বলি, যার সাথে তুমি কথা বল না।
(আবু দাউদ ৩৭৭৯)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুখে পিঁয়াজের গন্ধ থাকলে নাকি ওজু থাকলেও সালাত হয়না,একথাটি সম্পূর্ণভাবে ভুল।
তবে কাজটি মাকরুহে তানযিহি তথা অনুত্তম। 
রান্না করা খাবারের মাঝে পেয়াজ থাকলে সেটিতে কোনো সমস্যাই নেই।
কারন সেটি রান্না করা,তাই কোনো গন্ধও আসবেনা।
,
(০২)
না, সে মুনাফিক হবেনা।
,
(০৩)
যখন যে দেশে,বা যে দেশের উপরে ছিলো,সে দেশের ওয়াক্তই ধর্তব্য হবে।
তাই বাংলাদেশ টাইম এখানে কোনো ধর্তব্য রাখবেনা।

কাতারে ৬ টায় পৌছেছে,অর্থাৎ এখানে সে ফজরের ওয়াক্ত কাতারেই পেয়েছিলো,বা তার আগের রাষ্ট্রে,সেই হিসেব করেই সে ফজরের নামাজ আদায় করবে।

সে টেক্সাস গিয়ে পৌঁছল টেক্সাসের বিকাল ৩ টায়, সুতরাং সেখানে সে জোহরের নামাজ আদায় করবে।

সেখানে যেহেতু সে আছর ও মাগরিবের ওয়াক্তও অবস্থান করেছিলো,তাই আছর ও মাগরিব সে সেখানেই আদায় করবে।
অতঃপর আমেরিকাতে গিয়ে যেহেতু সেখানের ইশার ওয়াক্ত পেয়েছে,তাই সে আমেরিকাতে ইশার নামাজ আদায় করবে।
,
(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো কাজেরই শরীয়তে অনুমতি নেই।
আপনি হতাশ হবেননা।
কাজা নামাজ গুলোর আনুমানিক একটি হিসেব বের করে প্রতিদিন সময় বের করে অল্প অল্প করে আদায় করুন।
আল্লাহ সহায় হবেন,ইনশাআল্লাহ। 

প্রয়োজনে প্রতি নামাজের পর একই ধরনের নামাজের কাজা আদায় করে নিবেন।
উদাহরণঃ
ফজর পরে ফজরের দুই রাকাতের কাজা,জোহর পরে জোহরের চার রাকাতের কাজা,আছর পরে আছরের চার রাকাতের কাজা,,,,,,,,,, 

★এই ভাবে মনে মনে নিয়ত করবেন যে আমার জীবনের ১ম ফজরের নামাজ যেটার কাজা আমি আদায় করিনি,সেটা আদায়ের নিয়ত করছি।

আমার জীবনের ১ম জোহরের নামাজ যেটার কাজা আমি আদায় করিনি,সেটা আদায়ের নিয়ত করছি,,,,,।

উমরি কাজা আদায়ের নিয়ম জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 146 views
0 votes
1 answer 276 views
0 votes
1 answer 203 views
...