আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,352 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম !

আমার বয়স ২৯ বছর (অবিবাহিত যুবক) । বেশ কিছুদিন যাবৎ প্রতিদিনই কোনো কারণ ছাড়াই আমার প্রসাবের রাস্তা দিয়ে পানি কালারের আঠালো তরল বের হয় (একটু পর পরই বের হতে থাকে) , প্রসাব করার সময়ও বের হয় । তরলের কালারটা অনেক সময় ঘোলাটে কালারেরও হয় ।এবং প্রসাব করার পর অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও ফোঁটা ফোঁটা প্রসাব বের হতে থাকে । এই ফোঁটা ফোঁটা প্রসাব পড়া বন্ধ হতে অনেক সময় আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে । নামাজের সময়ও প্রসাব / আঠালো তরল বের হতে থাকে । অনেক সময় এমনও হয় যে প্রসাবের রাস্তা দিয়ে আঠালো তরল/ প্রসাবের ফোঁটা বের হয় কিন্তু আমি বুঝতেও পারি না । এই সমস্যার জন্য যৌণ বিভাগের ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু আশানুরূপ ফল পাইনি । ডক্টরের ভাষ্যমতে এই বয়সে এটা নাকি মোটামুটি স্বাভাবিক ব্যাপার । কিন্তু আমার খুব সমস্যা হচ্ছে । পবিত্রতার সাথে নামাজ পড়া সহ অন্যান্য আমল করা নিয়ে বিড়ম্বনায় আছি ।

এখন আমার প্রশ্নগুলো হলো -

১। এমতাবস্থায় জামাতে নামাজ পড়ার হুকুম কি ?
২। এক্ষেত্রে বার বার ওযু করতে হবে কিনা ?
৩। বার বার ওযু করতে না হলে এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান কি ?
৪। নামাজের সময় কাপড়ে ময়লা লাগলে বার বার কাপড় পরিবর্তন করতে হবে ? বাড়ির বাইরে থাকলে কিভাবে কি করতে পারি ?
৪। এই সমস্যা সমাধানের কোনো রাস্তা জানা থাকলে সন্ধান দিবেন আশা করছি ।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
িসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভূমিকা
https://www.ifatwa.info/6209 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,বায়ু বা প্রস্রাব বা লিকুরিয়া উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

কেউ শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হলে,তার জন্য প্রতি ওয়াক্তে একটি ওজুই যথেষ্ট।আর শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত না হলে,তখন প্রতি নামাযের জন্য পৃথক পৃথক ওজু করতে হবে।নামাযের যখনই লজ্জাস্থানে আদ্রতার দেখা মিলবে, তখন আবার ওজু করে এসে নামায পড়তে হবে।

যখন সারা ওয়াক্ত ব্যাপী উযর দেখা দিবে,তখন আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন।

কিন্তু যদি উযর কখনো কমে আসে, সারা ওয়াক্ত ব্যাপী না থাকে,বরং কমপক্ষে এতটুকু সময় পাওয়া যায় যে,উক্ত ওয়াক্তের ফরয সুন্নত নামায পড়া যায়,তাহলে তখন ঐ ব্যক্তি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবে না।সুতরাং তখন হুকম হলো,প্রয়োজন হলেও বারবার ওজু করে নামাযকে সম্পন্ন করা।

যখন আপনার এ রোগ কমে আসবে,তখন আপনি প্রয়োজনে বারংবার অজু করে ঐ নামাযকে সম্পন্ন করবেন।অজুকে ধরে রাখার কৌশল হিসেবে প্রয়োজনে চেয়ারে বসে নামায পড়তে পারেন।
যদি চেয়ারে বসে নামায পড়ে নিতে পারেন এবং অজু ভঙ্গ না হয়,তখন কিন্তু আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন না। বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/4504


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করে সেই অজু দ্বারা নামায পড়বেন।বারংবার আপনাকে অজু করতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
নামাজের সময় প্রসাবের পানি / মজি / ওদি যদি কাপড়ে লাগে সেক্ষেত্রে কি নামায শুদ্ধ হবে ?
by (589,140 points)
জ্বী তা এক দিরহামের বেশী হয়, তাহলে নামায শুদ্ধ হবে না।নতুবা হবে।
by
এবং নামাজ শেষে কি বাকি নামাজের জন্য পুনরায় অযু করা লাগবে?
by (589,140 points)
 এক ওয়াক্তের ভিতর যত নামায ইচ্ছা পড়তে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...