ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আরবী মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখে তিনটি রোযা রাখাকে আইয়্যামে বীজের
রোযা বলা হয়। এই রোযা রাখলে অনেক সওয়াব। না রাখলে কোনো গোনাহ নাই।
রাসূলুল্লাহ (সা.) আইয়্যামে বীজের তিনদিন
নিয়মিত সিয়াম পালন করতেন।
□ হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبي ذَرٍّ، يَقُولُ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا أَبَا ذَرٍّ إِذَا صُمْتَ
مِنَ الشَّهْرِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَصُمْ ثَلاَثَ عَشْرَةَ وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ
وَخَمْسَ عَشْرَةَ " .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছেনঃ হে আবূ যার! তুমি প্রতি মাসে তিন
দিন রোযা পালন করতে চাইলে তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখে তা পালন
কর।
" (তিরমিযীঃ ৭৬১, নাসায়ীঃ ২৪২৪)
□ আবদুল্লাহ ইবনে
আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিতঃ
قَالَ:
«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُفْطِرُ أَيَّامَ
الْبِيضِ فِي حَضَرٍ وَلَا سَفَرٍ»
তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাড়ীতে অবস্হানকালীন অবস্হায় এবং সফরকালীন
অবস্থায় আইয়ামে বীযের সাওম (রোযা) পালন করা থেকে বিরত থাকতেন না। ( সুনানে নাসায়ী
২৩৪৫)
প্রত্যেক মাসে ৩টা করে সিয়াম পালন করলে সারা
বছর নফল সিয়াম পালনের সমান সওয়াব পাওয়া যায়;
সুবহানাআল্লাহ!
□আব্দুল্লাহ ইবনে
আ’মর ইবনে আ’স (রা.) হতে বর্ণিত:
قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا عَبْدَ اللهِ … أَنْ تَصُومَ كُلَّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنَّ لَكَ بِكُلِّ
حَسَنَةٍ عَشْرَ أَمْثَالِهَا فَإِنَّ ذَلِكَ صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ হে ‘আবদুল্লাহ!... তুমি
প্রত্যেক মাসে তিন দিন সওম পালন কর। কেননা নেক ‘আমলের বদলে তোমার জন্য রয়েছে
দশগুণ নেকী। এভাবে সারা বছরের সওম হয়ে যায়। (বুখারীঃ ১৯৭৫)
সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. আইয়্যাম বীজ এর রোজা রাখার শুধুমাত্র নিয়ত করার পর যদি হায়েজ শুরু হয়ে যায়
তাহলে সেই রোজার কাযা করা লাগবে না। তবে যদি রোযা শুরু করার পর হায়েজ শুরু হয়ে যায়
তাহলে সেই রোজার কাযা করতে হবে।
২. হ্যাঁ, আইয়্যাম বীজ এর রোজা ১ টি অথবা ২ টি রাখা যায়। সুতরাং যদি ১৩
তারিখে রোজা রাখার পর কোনো কারণ বশত ১৪ তারিখ রোজা রাখতে না পারেন এবং ১৫ তারিখে
আবার রোজা রাখেন। সে ক্ষেত্রে ১৪ তারিখ এর রোজার কাযা আদায় করতে হবে না।